ফেনী :
ফেনীর ফাজিলপুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড (শিবপুর) ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মো. তেহজান। সে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সেনবাগের সিএনজি চালক আবদুর রবকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।

গত ১০মে সোনাগাজী সরকারি কলেজ ছাত্র ফখরুদ্দিন আহমেদকে ওই এজাহার দেখিয়ে আটক করে ফেনী থানা পুলিশ।
২০মে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় কলেজপড়ুয়া ছেলের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সংশ্লিষ্ট আদালত ও পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি পুনঃবিবেচনার দাবি জানান ফখরুদ্দিনের পিতা।
জানাগেছে, ফাজিলপুরের ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মো. তেহজানকে খুঁজতে গিয়ে ফখরুদ্দিন আহমেদকে আটক করে ফেনী সদর থানা পুলিশ। সে ফাজিলপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড, শিবপুর গ্রামের জহির উদ্দিন হায়দারের ছেলে ও সোনাগাজী সরকারি কলেজের ছাত্র।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় কলেজপড়ুয়া ছেলের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে জামিন ও মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান ফখরুদ্দিনের পিতা জহির উদ্দিন হায়দার।
তিনি বলেন, আমার ছেলে ফখরুদ্দিনের বয়স মাত্র ১৭ বছর। এখনো তার জাতীয় পরিচয়পত্র হয়নি। সদ্য এসএসসি পাশ করে সে সোনাগাজী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছে। এখন পর্যন্ত সে কোন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হয়নি। পুলিশ ফাজিলপুরের ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যে পদ দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার সে পদবীধারীর নাম মো. তেহজান।
আমার ছেলে ছাত্রলীগের কোন কমিটিতে নেই এবং তার বিরুদ্ধে কোন মামলাও নেই। ছাত্রলীগ নেতা তেহজানকে খুঁজতে গিয়ে পুলিশ আমার কলেজপড়ুয়া ছেলেকে আটক করেছে।
সংশ্লিষ্ট আদালত ও পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য জোর দাবি জানান ফখরুদ্দিনের পিতা।
ফেনী মডেল থানার ওসি শামসুজ্জামান জানান, ধৃত ফখরুদ্দিন মহিপালে ছাত্রআন্দোলনে হামলাকারিদের সাথে ছিলেন। চার আগস্টের মামলাগুলোর অনেক আসামির সাথে তার ছবি পাওয়া গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সিএনজি চালক আবদুর রবের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ মে আদালতে পাঠানো হয়েছে।