ফেনী :
৬০’এর দশকে তৎকালীন ছাতনেতা জয়নাল হাজারীর মাধ্যমে ফেনীর মাস্টার পাড়ার ঐতিহ্যবাহি হাজারী বাড়ি পরিচিতি লাভ করেন। জয়নাল হাজারী তিনবারের এমপি ও ১৮ বছর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন ফেনীর আওয়ামী রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যায় হাজারী বাড়ি।

তার উপর ভিত্তি করেই ২০১১ সালে ফেনীর মেয়র হন জয়নাল হাজারীর মামাতো ভাই নিজাম উদ্দিন হাজারী।
২০১২ সালে নিজাম হাজারী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২০১৪ সালে ফেনী সদরের এমপি হওয়ার পর আবারো ফেনীর আওয়ামী রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যায় হাজারী বাড়ি।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাড়ির লোকদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন নিজাম হাজারী।
আওয়ামীলীগের একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে, জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. ফরিদ হাজারী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী, সদস্য ফারুক হাজারী, কুতুব উদ্দিন হাজারী, পারভেজুল ইসলাম হাজারী, মোসলেহ উদ্দিন বাদল হাজারী,
জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল হাজারী, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জিয়া উদ্দিন হাজারী, ২নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি ফখরুল ইসলাম হাজারী, জেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক রাশেদ হাজারী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এসআই বিপ্লব হাজারী,
জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বাবু হাজারী, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক রাজন হাজারী ও পৌর তাঁতীলীগের সেক্রেটারি করিম হাজারী। এছাড়া মোশারফ হোসেন মিয়া হাজারী ছিলেন সাবেক পৌর আ’লীগ সভাপতি ও বকু হাজারী ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর।
এসব নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে অসন্তোষ থাকলেও নিজাম হাজারীর দমণনীতির কারনে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। তবে দলের হাইকমান্ডে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।