ফেনী:
পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেছেন, ফেনীর দাগনভুঁইয়া মডেল মাদ্রাসায় ২৯জন শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। যা আমরা তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছি, এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার তিনজন শিক্ষক জড়িত। আমি ফেনীতে এসে মাদ্রাসা শিক্ষক দ্বারা শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষনের ঘটনা প্রথম শুনলাম।
গত রোববার জেলাপ্রশাসক শাহীনা আক্তার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় একথা বলেন তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, ফেনীতে যানজটের মূল কারন পার্কিং না থাকা, ফেনীতে মূল সড়কের পাশের শপিং মলসহ বহুতল ভবনে পার্কিং নাই। রেজিস্ট্রেশন বিহীন সিএনজির বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। আমরা আটক করলে অনেক সময় নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। যেমন শহরে সিএনজি শূন্য হয়, তখন যাত্রীদের ভোগান্তি হয়। অনেকে তদবির করেন। এদিকে বিআরটিএ ফেনীতে নতুন করে সিএনজির রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রেখেছে। গোয়েন্দা তথ্যমতে এবার ১৫ আগস্ট শোক দিবসে হুমকি রয়েছে। যে কেউ নাশকতা করতে পারে। তাই ১৫ আগস্ট কাঙালি ভোজে কিছু মেশাতে যেন না পারে সেজন্য গরু জবাই থেকে কাঙালি ভোজ বিতরন পর্যন্ত যেন, কঠোরভাবে মনিটরিং করা হয়।
বিষয়টি ফেনী- ২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীকে অবহিত করেছেন পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দেন শিক্ষার্থীর অভিভাবক। ওই মামলায় মোজাম্মের হোসেন নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে কোর্টে সোপর্দ করে দাগনভুঞা থানা পুলিশ। দাগনভুঞা থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, অভিযুক্ত অপর শিক্ষক জিলওয়াল আহমেদ এখনো পলাতক রয়েছে।