ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনীর সোনাগাজী সদর ইউনিয়ন যুবলীগ’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোকসুদ আলম বিপ্লবের হত্যাকারীদের বিচার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার সকালে সোনাগাজী পৌর-শহরের জিরোপয়েন্টে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন সহস্রাধিক নারী-পুরুষ।
মানববন্ধনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আরেফিন বলেন, বিপ্লবের লাশ উদ্ধারের পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের যে অবস্থা দেখেছি তাতে এটা কোনভাবেই আত্মহত্যা বলে মনে হয়নি। বিপ্লবকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করবো বিপ্লবের মৃত্যুর ঘটনা যেন সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়। না হলে কঠোর আন্দোলন হবে।
মানববন্ধনে নিহত বিপ্লবের স্ত্রী আকলিমা আক্তার বলেন, চেয়ারম্যানের স্বামী মোঃ রফিক তার সহযোগি নাজিম উদ্দিন, আলী মর্তুজা ও করিম পরিকল্পিতভাবে বিপ্লবকে হত্যা করেছে। ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও কোন আসামী গ্রেফতার হয় নি কেন? স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের দুবৃলতা নাকি আতাত আমরা জানতে চাই। দ্রুত সকল আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক শাস্তি নিশ্চিত করতে আমি প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাই।
বিপ্লবের বোন নিপু আক্তার বলেন, রফিক ও তার সহযোগিরা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমার ভাই বারবার ফেইসবুক লাইভ দিয়ে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল। নেতাদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বলেছে, কিন্তু কোন প্রতিকার মেলেনি। বৌ চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে রফিক ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের অত্যাচার নির্যাতনে সদর ইউনিয়নের মানুষ অতিষ্ঠ। পরিষদের পল্লী আাদালতে বিচার নিয়ে গেলে রফিক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে থাকে। চেয়ারম্যানতো তার স্ত্রী। তাহলে রফিক কিভাবে পল্লী আদালতের মামলা গুলো শুনানী করেন ?
বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের এক পর্যায়ে নিহত বিপ্লবের ১০বছরের শিশু পুত্র মেহেরুল ইসলাম পবিন ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে পিতার হত্যাকারীদের বিচার দাবী করে কান্না শুরু করলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। পবন স্থানীয় তালিমুদ্দিন হালিমিয়া মাদ্রাসার ৩য় জামাতের ছাত্র।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৯মার্চ) নিজ শয়নকক্ষ থেকে বিপ্লবের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় পরদিন বিপ্লবের স্ত্রী বাদী হয়ে সদর ইউপি চেয়ারম্যান উম্মে রুমার স্বামী মোঃ রফিক, তার সহযোগী আলী মর্তুজা, নাজিম উদ্দিন ও করিমুল হকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭জনের নামে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি খালেদ হোসেন বলেন, মামলা হওয়ার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে।