আখাউড়া স্থলবন্দরে ‘ওমিক্রণ সন্দেহভাজন’ হলে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
ভারতের কর্ণাটকে ওমিক্রণ ভাইরাস আক্রান্ত দুইজনের সন্ধান মিলেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত ৪৬ ও ৬৬ বছর বয়সি দু’জনের দেহে ওই ভাইরাস ধরা পড়লে দেশটিতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ার পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়। সীমান্তবর্তী হওয়ায় এ নিয়ে সতর্ক বাংলাদেশও। অন্যান্য উদ্যোগের পাশাপাশি স্থলবন্দরগুলোতেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। 

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় যাত্রীদের অবাধ চলাচল থাকায় বাংলাদেশেও সেটা ছড়িয়ে পড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুরুর দিকেই এ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য সেখানে একটি হেলথ স্ক্যানিং বুথ রয়েছে। 

আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়,  বেলা সাড়ে চারটা নাগাদ ৮০ জনের মতো ভারতীয় বাংলাদেশে আসেন। আরো ১০-১৫ জনের মতো আসার অপেক্ষায় আছেন। বর্তমান সময়ে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন ভারতীয় এ বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। একই সঙ্গে এ বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি যাত্রী পারাপারও হচ্ছে। এসব যাত্রীরা চিকিৎসা ও ব্যবসায়িক ভিসায় যাতায়ত করছেন।  

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, যাতায়তকারি যাত্রীদের বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ভারত থেকে আসা যাত্রীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আসছে কি-না সেটি যেমন দেখা হচ্ছে তেমনিভাবে ওমিক্রণের উপসর্গ থাকলে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত উপসর্গ নিয়ে আসা কোনো যাত্রী পাওয়া যায়নি। 

শনিবার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার বাসিন্দা সুমন দেব। কথা হলে তিনি জানান, নো-ম্যানসল্যান্ড পার হওয়ার পর ইমিগ্রেশন কার্যালয়ের সামনে ‘হেলথ স্ক্যানিং বুথ’ এ তাদেরকে করোনা পরীক্ষার কাগজ দেখাতে হয়েছে। কোনো ধরণের উপসর্গ আছে কি-না সেটি জানতে চাওয়া হয়েছে।  

আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. আব্দুল হামিদ জানান, স্বাস্থ্যবিভাগের একটি টিম বন্দরে কাজ করছে। নির্দেশনা অনুযায়ি যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। পুলিশও এ বিষয়ে সতর্ক আছে।   

হেলথ স্ক্যানিং বুথে দায়িত্বরত চিকিৎসক ফয়জুন্নেচ্ছা আমীন জানান, কোনো ভারতীয় আসা মাত্র তাদের কাছে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কাগজপত্র আছে কি-না সেটা নিশ্চিত করা হয়। কারো কোনো উপসর্গ আছে কি-না সেটিও নিশ্চিত করা হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো একরাম উল্লাহ জানান, পরিস্থিতি অনুযায়ি নির্দেশনাও দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।

সর্বশেষ ২ ডিসেম্বর আসা নির্দেশনা অনুযায়ি স্বাস্থ্যবিভাগ কাজ করছে। কারো কোনো উপসর্গ থাকলে তার তাৎক্ষণিক পরীক্ষার নির্দেশনা দেওয়া আছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *