সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন জহির উদ্দিন। ইনসেটে সাহাবুদ্দিন ও তার সহযোগী জলিল।
ফেনী প্রতিনিধি :
কুয়েতে বাংলাদেশী প্রবাসীদের কাছে চাঁদাবাজী করে সংঘবদ্ধ কয়েকজন মাদক সেবী। দাবীকৃত চাঁদা না দিলে প্রবাসীদের ওপর হামলা , মিথ্যা মামলাসহ পুলিশি হয়রানি করে মাদক সেবী চক্র। ওই চক্রের মুল হোতা সোনাগাজীর ওলামাবাজার সংলগ্ন নবী উল্যাহর ছেলে সাহাবুদ্দিন ।
মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী শহরের ফাইভষ্টার হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কুয়েত ফেরত ভুক্তভোগী জহির উদ্দিন । তিনি জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের গনি আহম্মদের ছেলে।
জহির বলেন, কুয়েতের জিলিপ আল সুয়েক শহরে তিনি সবজির ব্যবসা করতেন। ওই চাঁদাবাজ সাহাবুদ্দিন তার কাছে এক হাজার দিনার (প্রায় তিন লক্ষ টাকা) চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেয়ায় স্থানীয় পুলিশদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে একটি মামলা সাজায় সাহাবুদ্দিন। ওই মামলায় এক মাস জেল খেটেছেন তিনি। সর্বস্ব হারিয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন তিনি।
এভাবে ফেনী ও আশপাশের আরো কয়েকটি জেলার প্রায় শতাধিক প্রবাসীর কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে সাহাবুদ্দিন ও তার সহযোগী চৌদ্দগ্রামের রাজবল্লবপুর গ্রামের মো. ইব্রাহীমের ছেলে আবদুল জলিল।
এ ব্যপারে কয়েকজন ভুক্তভোগী বাংলাদেশী দুতাবাসে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি। জহির উদ্দিন আরো বলেন, ওই সব চাঁদাবাজদের কারনে জিলিপ আল সুয়েকসহ আশপাশের শহর গুলোতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা কুয়েত ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কুয়েতে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদুত ও ফেনী সদরের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।