ধোবাউড়া(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ-
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সরকারি গাড়ি মধ্যরাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
জানা যায়, বুধবার মধ্যরাতে হাসপাতাল চত্বর থেকে গাড়িটি নিখোঁজ হওয়ার সংবাদে দ্রুত পুলিশি তৎপরতা শুরু হলে উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় চোর।
এ বিষয়ে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৈশ প্রহরী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গতরাতে আনুমানিক রাত দুইটা বিশ মিনিটে আমি হাসপাতাল গেটে দঁাড়িয়ে ছিলাম। এ সময় হাসপাতাল মাঠের দিক থেকে স্যারের গাড়িটি দ্রুত গতিতে বের হয়।
এ সময় আমি টিএইচও স্যারকে ফোনে বিষয়টি জানাই। স্যার আমাকে গাড়িচালক আবিদের সাথে কথা বলার জন্য বলেন। আমি আবিদের রুমে গিয়ে তাকে পেয়ে গাড়িটি বের হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানাই। এ বিষয়ে গাড়িচালক আবিদ হোসেন বলেন, আমার পরিচিত স্থানীয় আলমগীর নামের একজন শরীর খারাপ লাগছে বলে দিনের বেলায় আমার বাসায় ঘুমাতে আসে এবং ঘন্টা তিনেক ঘুমায়।
আমার বাসায় আসার সুযোগে আমার রুমের ড্রয়ারে রক্ষিত গাড়ির অপর আরেকটি চাবি গোপনে নিয়ে যায়। মধ্যরাতে গাড়ি নাই বলে নৈশ প্রহরী আমাকে বিষয়টি জানালে আমি সন্দেহবশত তাৎক্ষনিক আলমগীরের মোবাইলে কল দেই এবং গাড়ি কোথায় আছে জানতে চাইলে সে বলে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছে! ১০ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে চলে আসবে।
আমি সাথে সাথেই গাড়ির খোঁজে বের হয়ে পড়ি। পরে দিঘিরপাড় নামক স্থানে রাস্তার পাশে দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত গাড়িটি দেখতে পাই। ধোবাউড়া থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, গাড়ি চুরির খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক জেলা পুলিশ ও আশেপাশের সবগুলো থানায় জানিয়ে গাড়ি উদ্ধার অভিযানে বের হন তিনি।
গাড়িটি মুন্সিরহাট এরশাদ বাজার রাস্তায় রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে এরশাদ বাজার যাওয়ার পথে দিঘিরপাড় নাম স্থানে একটি বিকট শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। একটু এগিয়ে গেলে দিঘিরপাড় গ্রামে রাস্তার পাশে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া গাড়িটি পড়ে থাকতে দেখতে পাওয়া যায় এবং গাড়িতে কেউ ছিলো না বলে জানিয়েছেন।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত গাড়িটি দিঘিরপাড় গ্রামে রাস্তার পাশে বিধ্বস্তবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়সুত্রে জানা যায়, গাড়িচালক আবিদ হোসেন ও স্থানীয় আলমগীরের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আলমগীর মাঝে মধ্যেই আবিদের বাসায় সময় কাটায়।
এ দিনও দীর্ঘ সময় সে আবিদের বাসায় ছিল। এই দু’জনের যোগসাজশেই গাড়ি উধাও হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারনা করছে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে জানতে আলমগীরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে বন্ধ পাওয়া যায়।