ময়মনসিংহ : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম নিরসন করা হবে। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রমে থাকতে দেয়া হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে স্থানীয় একটি হোটেলে বিভাগীয় শিশু শ্রম নিরসন কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত ‘শিশু শ্রম নিরসন’ বিষয়ক এক উদ্ভুদ্ধকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমান সরকারের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিপর্ণ শ্রমে নিয়োজিত ১২ লাখ শিশু শ্রমিক’কে প্রত্যাহার করা সরকারের জন্য কঠিন নয়। এ কাজে সফলতার জন্য সরকার চায় উদ্যোগ এবং সকলের সহযোগিতা।
নিজেদের সুবিধার্থে অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের শিশু শ্রমে নিযুক্ত করে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ শিশু শ্রম নিরসনে সরকার এবং বাবা-মা’র সাথে সাথে সমাজের সচেতন মহল, এন.জি.ও, সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
২০১৫ সালে সরকার গৃহকর্মী সুরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী হক বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে গৃহকর্মী সুরক্ষার আইন প্রণয়ন করা হবে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণে সরকার নানামুখী উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল শ্রমিককেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় নিয়ে আসবে। ২০২১ সালের পর কোন শ্রমিকই আর অসহায় থাকবে না।
বিভাগীয় কমিশনার জি.এম. সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সংসদ সদস্য ফকরুল ইমাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহা-পরিদর্শক সৈয়দ আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব খন্দকার মস্তান হোসেন, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডি.আই.জি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং শিশু অধিকার ফোরামের চেয়ারপারসন এমরানুল হক বক্তৃতা করেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এন.জি.ও সংগঠন ইনসিডিনের নির্বাহী পরিচালক মাসুদ আলী।
প্রতিমন্ত্রী পরে প্রায় পৌনে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ময়মনসিংহে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।