নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর কোম্পানীেঞ্জে আ.লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্ধের জের ধরে এক ছাত্রলীগ নেতার বাসায় ককটেল হামলার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল ও দুটি ফটকা উদ্ধার করে।
শনিবার (২৬ জুন) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হ্যাপী মহলে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন সজল বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী ও তাঁর ঘোষিত উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং বসুরহাট পৌরসভার ৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মাকসুদা আক্তার হ্যাপীর ছেলে।
সজল অভিযোগ করে বলেন, আজ দুপুরের দিকে ৮-১০জন লোক মাথায় হেলমেট পরিহিত অবস্থায় মোটরসাইকেল যোগে তার বাসার সামনে এসে অবস্থান নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে।
কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের অনুসারী ফখরুল ইসলাম রাহাত জানান, পৌরসভা এলাকায় আমরা নিজের বাসায় বসবাস করতে পারছিনা।
একজন সাংবাদিককে বাড়িতে গিয়ে কুপিয়েছে কাদের মির্জার অনুসারীরা। সেই পৌরসভা এলাকার মধ্যে কাদের মির্জার অনুসারীদের বাড়িতে ককটেল হামলার অভিযোগ সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই না। তবুও আমরা প্রশাসনকে বলব বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত দুটি ককটেল ও দুটি ফটকা উদ্ধার করা হয়েছে।