নাগরপুরে ভার্সিটি ছাত্রর আত্মহত্যা | বাংলারদর্পণ

নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পরক্রিয়া সম্র্পক জেনে যাওয়ায় গৃহশিক্ষক কে চোরের অপবাধ দিয়ে আত্নহত্যা করতে বাধ্য করলেন গৃহকর্তৃ। ঘটনার স্বীকার উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের চারাবাগ গ্রামের করটিয়া সা’দত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মো. আজাদ মিয়া (২৪)। মঙ্গলবার দুপুরে চারাবাগ গ্রামে আত্নহত্যার ঘটনাটি ঘটে। সে ওই গ্রামের মো. মেহের আলীর ছেলে। মৃত্যুর আগে আত্মহত্যার কারন নিজ হস্তে চিরিকুটে লেখে গেছেন ওই ছাত্র ।

এলাকাবাসী জানান, অনার্স পড়–য়া ছাত্র আজাদ পাশের বাড়ীর শওকত এর ছোট ছেলেকে প্রাইভেট পড়াতো। শওকত প্রবাসী হওয়ায় তার স্ত্রী একই গ্রামের রাসেলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরক্রিয়া করে আসছে। অনৈতিক কার্যকলাপ দেখে ফেলায় আজাদকে চোরের অপবাধ দিয়ে আত্নহত্যায় বাধ্য করতে পারে।

চিঠির ভাষা,
মৃত্যু আগে কেউ মিথ্যে কথা বলে না, এখন আমি সত্য কথা বলে দুনিয়ার বুক থেকে চলে যাবো। রাসেলের সাথে আমার ভাল সম্পর্ক। কিন্তু শওকতের স্ত্রীর সাথে রাসেলের অবৈধ সম্পর্ক আছে। মাঝে মধ্যে শওকত এর স্ত্রীর সাথে রাসেল অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হত যা আমি দেখে ফেলি। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য মাঝে মধ্যে আমাকে টাকা দিতো রাসেল । এদিকে শওকতের স্ত্রী কুলসুম পাশের এলাকার তোফার স্ত্রী গেন্দির কাছ থেকে সাতলক্ষ টাকা ধার আনে। গেন্দি টাকা ফেরৎ পেতে চাপ দেন শওকতের স্ত্রী কুলসুম কে। কুলসুম টাকা ফেরৎ চাওয়ার বিষয়টি রাসেল কে জানান।

তোফার স্ত্রীর টাকা যাতে ফেরৎ দেয়া না লাগে রাসেল ও কুলসুম মিলে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাসেল আমাকে ফোন দিয়ে শওকতের বাড়ীতে যেতে বলে। যাবার পরে রাসেল বলে, কুলসুমের ফোন কিছুক্ষনের জন্য তোর কাছে রাখবি। পরে কুলসুম ফোন খোজাখুজি করলে তুই বলবি যে তোফার স্ত্রী গেন্দি তোরে ফোনটা দিয়েছে। তখন গেন্দিকে চোরে অপবাধ দিবো যাতে টাকা ফেরৎ দিতে না হয়। কিন্তু পরে মোবাইল চোরের অপবাধটা আমার উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। আমার মা বাবা ও সমাজের কথা চিন্তা করে আমি তা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না। শুধু তাই নয় রাসেল একজন ইয়াবা খোর। মাঝে মধ্যে শওকতের ছেলে ও রাসেল ইয়াবা সেবন সহ মেয়ে এনে রাতভর বাড়ীতে ফুর্তি করে এবং আযানের সময় বিদায় করে দেয়। ভোরে মেয়েটিকে বিদায় করার সময় পাশের বাড়ীর আবু তালেবের ছেলে রাকিব দেখে ফেলে। চোরের অপবাধ সইতে না পেরে পুথিবী থেকে বিদায় নিলাম। মৃত্যুর আগে এমনটাই লিখে যান আজাদ।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে ফোর্স পাঠাই। লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে প্রেরণ করি। তদন্ত রিপোর্ট ও অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *