ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি কমিটি, পরিস্থিতি উত্তপ্ত – বাংলারদর্পন 

 

ডেস্ক রিপোর্ট :

০৪ জানুয়ারি ২০১৮।

টাঙ্গাইলের সরকারি সা’দত কলেজে ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি দুটি কমিটি গঠিত হয়েছে। দুটি কমিটিকেই জেলা ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ অনুমোদন দিয়েছে। এ নিয়ে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।

ছাত্রলীগের দুপক্ষই কলেজ ক্যাম্পাসে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। গতকাল বুধবার ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় একজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন নেতা-কর্মীরা।

জেলা ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, গত বছরের ২৩ মে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সোহেলকে আহ্বায়ক এবং আরও পাঁচজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কয়েক মাসের মধ্যেই এই কমিটিতে বিভক্তি দেখা দেয়। তাঁদের মধ্যে আহ্বায়কসহ যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীরুল ইসলাম, শফিউল আলম অবস্থান নেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান খানের পক্ষে। এ অংশ থানাপাড়া অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে অন্য দুই যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল হাসানএবং রনি আহম্মেদের নেতৃত্বে একটি অংশ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসানের পক্ষে অবস্থান নেয়। এ পক্ষটি আদালতপাড়া অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

গত ৩১ ডিসেম্বর মিলন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট সরকারি সা’দত কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের একপক্ষ (থানাপাড়া অনুসারী)। এতে স্বাক্ষর করেন টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীরুল ইসলাম ও শফিউল আলম। কমিটি প্রকাশের পরপরই শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ক্যাম্পাসে মিছিল করে ছাত্রলীগের আরেক পক্ষ (আদালতপাড়া অনুসারী)। আদালতপাড়া অনুসারীরা নতুন ঘোষিত কমিটিকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

এদিকে গত মঙ্গলবার সা’দত কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রতন মিয়াকে আহ্বায়ক করে ৪৯ সদস্যবিশিষ্ট আরেকটি পাল্টা কমিটির অনুমোদন দেয় টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের আদালতপাড়া অনুসারী পক্ষ। এতে স্বাক্ষর করেন টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রনি আহম্মেদ ও রাশেদুল হাসান।

সা’দত কলেজ ছাত্রলীগের এই পাল্টাপাল্টি কমিটি নিয়ে বর্তমানে ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে উত্তেজনা। কলেজ ক্যাম্পাস বর্তমানে রতন মিয়ার নেতৃত্বাধীন পক্ষ নিয়ন্ত্রণ করছে। মিলন মাহমুদ অংশও ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করছে। গতকাল বুধবার সকালে ক্যাম্পাসে রতন মিয়ার নেতৃত্বাধীন কমিটি মিছিল করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এ সময় একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্ররা সজীব নামের এক বহিরাগতকে ধরে উত্তম-মধ্যম দিয়ে অধ্যক্ষের কাছে দেন। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে পুলিশে দেয়। ছাত্রলীগের আদালতপাড়া অংশের অভিযোগ, আটক সজীব অপরপক্ষের কর্মী।

টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আহ্বায়ককে ছাড়া যুগ্ম আহ্বায়কেরা কোনো কমিটি অনুমোদন দিতে পারেন না। তাই রতন মিয়াকে আহ্বায়ক করে যে কমিটি করা হয়েছে, সেটি অবৈধ।

এদিকে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল হাসান বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ইউনিটে কোনো কমিটি করতে হলে অবশ্যই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকে অবগত করতে হয়। আমরা জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দকে যথাযথভাবে জানিয়ে অনুমোদন দিয়েছি। সেদিক দিয়ে আমাদের কমিটিই বৈধ। ওই কমিটি অবৈধ।’

এসব বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সোহান খান বলেন, মিলন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে যে কমিটি দেওয়া হয়েছে, সেটার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। এই কমিটির বিপরীতে জেলা ছাত্রলীগের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *