প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে সামছুল আলম নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদ এবং সন্ত্রাসী শহিদকে গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। বুধবার বিকেলে উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের বাঁকরা গ্রামে ভুক্তভোগীর নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর পিতা ফখরুল ইসলাম জানান, ‘গত ২৬ এপ্রিল রাতের আঁধারে তার ছেলে সামছুল আলমকে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে বাঁকরা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় অতর্কিত হামলা করে একই গ্রামের মৃত নুর মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম। ইতিপূর্বে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম একই গ্রামের আবদুল বাতেনকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করে।
দীর্ঘদিন জেল খাটার পর বর্তমানে ওই হত্যাকান্ডের ঘটনা আপোষ-মিমাংসার কারণে সে জামিনে আছে। এ সুযোগে গ্রামে ফিরে এসে সে আবারো উশৃঙ্খলা শুরু করে। বিভিন্ন শালিস দরবারে পেশিশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সে জনসাধারণকে ন্যায়-বিচার বঞ্চিত করে আসছে।
ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বাতেন হত্যা এবং সামছুল আলমকে হত্যাচেষ্টা ছাড়াও অভিযুক্ত শহিদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে বাঁকরা গ্রামের খন্দকার বাড়ীর আবুল কাশেমের জামাতা সালেহ আহম্মদ, ছেলে বাহার, দপ্তরী আবুল বাশারের ছেলে শামীম, মৃত আবুল কালামের স্ত্রী-কন্যা এবং রাজমিস্ত্রী জাকির হোসেন সহ গ্রামের আরো কয়েকজন নিরীহ মানুুষের উপর সে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। শহিদের অত্যাচারে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র-ছায়ায় সে আধিপত্য বিস্তার করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। সামছুল আলম হত্যাচেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করায় ভুক্তভোগী পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম। ছেলে সামছুল আলমের উপর হামলার ঘটনার ন্যায় বিচার বিচার পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের অনুগ্রহ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীর পিতা ফখরুল ইসলাম।’
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবুল হক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ খন্দকার, সমাজসেবক জাফর ইকবাল, আনোয়ার হোসেন সহ বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।