অজস্র মৃত্যুতে আমরাও সশস্ত্র হব : কাদের মির্জা

প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জে রক্তপাত বন্ধে প্রস্তাব দেওয়ার একদিন পর নিজের অনুসারী রাজু নামে এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গ্রেপ্তার হওয়ায় ফের ফেইসবুক লাইভে এসে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, কোম্পানীগঞ্জে এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না, আমি আমার কর্মীদেরকে বলবো, আমি শান্তির প্রস্তাব দিয়েছি। আজকের দিন দেখবো, আজকের দিন দেখার পর তোমাদের আগামী দিন সিদ্ধান্ত দিবো।

সেই সিদ্ধান্তের আলোকে তোমাদের সাথে রাজপথে আমিও থাকবো। আমি দেখবো পুলিশ প্রশাসন কি জিনিস। প্রয়োজনে জেলে যাবো, প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করবো। আমি আর ছেড়ে দিবো না।আমরাও সশস্ত্র হব অজস্র মৃত্যুতে।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে নিজ অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।

কাদের মির্জা বলেন, আমার ছেলেকে এভাবে আহত করার পর এরা কিভাবে থানায় বসে মিটিং করে। সারা দিন রাত তারা সেখানে মিটিং করে, আড্ডাবাজি করে। প্রত্যেকটা ছেলের হাতে অস্ত্র। অস্ত্র নিয়ে তারা থানায় যায়। অস্ত্র নিয়ে ওসির সামনে বসে থাকে। এ অবস্থা যদি চলতে দেয়। আমরাও বসে থাকব না। আমরাও সশস্ত্র হব অজস্র মৃত্যুতে।

তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জের শান্তির জন্য একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম, সেটিও আপনারা শুনেছেন। কিন্তু আজকে আমার সে প্রস্তাবে প্রশাসন এবং ওবায়দুল কাদের, তাঁর স্ত্রী, একরাম-নিজামের লেলিয়ে দেয়া অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমার প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে এখানে তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে আমার ছেলেদেরকে গ্রেফতার করছে। আমার পৌরসভায় কেউ উঠতে-নামতে পারে না, এখানে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমার এখানে ইফতার-সেহেরি পর্যন্ত আনতে দেয়া হয়না। সেহেরি-ইফতার না খেয়ে রোজা ভেঙেছে এবং রোজা রেখেছে। এধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

মির্জা কাদের বলেন, আজকে রাজু নামের আমার এক ত্যাগী কর্মীকে পৌরসভার ক্যাম্পাস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কত বড় সাহস, পৌরসভা কোন জেলা নিয়ন্ত্রণ করে না, এটা মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে। এ পৌরসভা থেকে তারা আমার ছেলেকে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। গত তিন দিনে আমার প্রায় ১০জন ছেলে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি তাদের দেখার জন্য থানায় গিয়েছিলাম, এডিশনাল এসপি ও ওসি সেখানে আমার গায়ের উপর হাত দিয়েছে। আমি প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে, বিভিন্ন জায়গায় বলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা।

কাদের মির্জার অভিযোগ, আমার ছেলেকে ইট দিয়ে পিটিয়ে মাথা পাঠিয়ে চৌচির করে ফেলেছে। হেফাজতের মাসোয়ারা ভোগী চাঁদাবাজ রুমেল এবং তার ছেলেরা আমার ছেলেকে আহত করেছে। আজকে আমার ছেলে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে অবস্থান করছে, লকডাউনের কারণে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারছেনা। তার হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, আমার ছেলেদের গ্রেফতার করেছে। এই ওসি রাহাত্তার (ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে রাহাত) টাকা খায়, রাহাত্তা ইয়াবা বিক্রি করে, জনতা ব্যাংকের তিন কোটি টাকা সে আত্মসাত করেছে। এই ভূমিদস্যু রাহাত্তা মন্ত্রীর পরিচয় দিয়া ওসির চেম্বারে বসে সেখান থেকে থানা নিয়ন্ত্রণ করছে। তার কথায় আজকে উঠছে আর বসছে। এই ছেলে কে? জনতা ব্যাংকে চাকুরি করে, সেখান থেকে তিন কোটি টাকা খেয়েছে। সে ব্যাংকে যায়না, মন্ত্রীর পরিচয় দিয়া সে একদিনও অফিস করে না। সে থানায় বসে বসে এডিশনাল এসপি ও ওসিকে টাকা দিয়ে আমার ছেলেদের গ্রেফতার করিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *