ফেনী প্রতিনিধি :
সোনাগাজীর এক নারী শ্রমিক খুনের ঘটনায় ১০দিন পর ফেনী আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষন ও হত্যা মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের মা ঝর্না বেগম। উক্ত আদালতের হাকিম সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার মোশারফ ইউছুফ মামলাটি আমলে নিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট ও অপমৃত্যু (ইউডিএ) মামলার প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিলের জন্য সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলা দক্ষিণ চর সাহাভীকারি গ্রামের আবুল কাশেমের গ্রামে আরজু আক্তার (১৮) ফেনীর কালিপালে ইয়াসিনের বিস্কুট কারখানায় কাজ করতেন । কারখানার পাশেই মালিকের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। পাশের কক্ষে থাকতেন কারখানা মালিক মো. ইয়াসিনের ভাগিনা নুর উদ্দিন রিপন (২২)। সে দাগনভুঞার নাজিমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
আরজুর মা ঝর্না বেগম বাংলারদর্পণকে বলেন, কিছুদিন পূর্বে আরজুর সাথে রিপন’র প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে । গত ৫ সেপ্টেম্বর আরজু বাসায় একা ছিল। সেদিন মধ্যরাতে রিপন আরজুর ঘরে প্রবেশ করে । পরদিন রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর মডেল থানার এসআই নাছির উদ্দিনের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমার মেয়ে খুন হয়েছে। তিনি আরো জানান, উভয়ের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেরে কারখানা মালিক মো. ইয়াসিন ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে খুন করেছে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার সম্মিলন’র (বামাস) চেয়ারম্যান ও মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি জাহাঙ্গীর আলম নান্টু বাংলারদর্পণকে বলেন, ভিকটিমের সাথে কারখানার মালিকের ভাগিনার প্রেম ছিল। এরই জেরে কারখানার মালিক মো. ইয়াসিন , তার ভাগিনা নুর উদ্দিন রিপন ও আবদুল হান্নান পরিকল্পিতভাবে রাতভর ধর্ষন ও নির্যাতন করে আরজুকে হত্যা করেছে। তাদের তিনজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষন ও হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাদী আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় মামলার সার্বিক দায়ীত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার সম্মিলন। আশাকরি ন্যায় বিচার পাবেন ভিকটিমের পরিবার।
এমএ/বাংলারদর্পণ