নিউজ ডেস্ক :
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেছেন, ‘আলোচিত এ মামলায় ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আরও ২০ জনের সাফাই সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সব আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে ধ্বংস করে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল। তৎকালীন সরকারের মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতায় এই গেনেড হামলা করা হয়। সরকারের অনেকেই এই হামলায় সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এই হামলায় যে আর্জেস গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছিল তা আব্দুস সালাম পিন্টুর সরকারি বাস ভবন থেকে সরাবরাহ করা হয়েছিল। মামলার আলামত নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তারপরেও এ মামলার ১৪৪টি আলামত আদালতে প্রদর্শন করা হয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার কাজ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
আসামি পক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মধ্যে দিয়ে এই মামলার বিচার কার্যক্রমে শেষ হয়েছে। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে চলা এই মামলার আগামী ১০ অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হবে। সেই সঙ্গে এই মামলায় জামিনে থাকা সকল আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ হামলা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।
