ফেনীতে মেম্বারসহ ৭ মাদক বিক্রেতার কারাদন্ড | বাংলারদর্পন

ফেনী প্রতিনিধি :

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নসহ পুরো উপজেলার মাদক ব্যবসার মূল নিয়ন্ত্রক উপজেলার অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী সাইফুদ্দিন লিটু। মাদকবিরোধী চলমান অভিযানের মধ্যেও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন কোরেশ মুন্সি বাজারের মা মেয়ে গণধর্ষনের মূল আসামী লিটু। তার সাথে জড়িয়ে আছে এলাকার প্রভাবশালীরা। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যসহ আরো অনেকেই লিটুর এই মাদক সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। সন্ধ্যা হলেই আড্ডা বসে রাজাপুর কমিনিউটি সেন্টারের দোতলায়। এখান থেকেই পাইকারি ও খুচরা বিক্রি হয় ইয়াবা।

 ৯ মে শনিবার  ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের এই কমিনিউটি সেন্টারে রাত ১০ টায় মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা  করে জেলা প্রশাসন, ফেনী। এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা। 

 

তিনি জানান, রাজাপুর কমিনিউটি সেন্টারের দোতলায় ঝটিকা অভিযানে প্রায় ৭ টি প্লাস্টিকের বোতলে দেশী মদ ও একটি নীল প্যাকেটে ৩৬ পিস ইয়াবাসহ আড্ডায় বসা অবস্থায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ আটক করা হয় ৭ জনকে। তল্লাশির সময় আটক  মামুনুল হক মামুন পায়ের তলায় লুকিয়ে রাখা সিগারেটের প্যাকেট থেকে ৩৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়। অভিযানের খবর পেয়ে একটি সাদা রঙ এর টয়োটা হায়েস মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যায় লিটু। আদালত আটক প্রত্যেককে ১ (এক) বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। দন্ডিতদের মাঝে আব্দুল মোতালেব টিপু (৩৫) দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার। এছাড়াও লিটুর সহযোগী জহির উদ্দিন রিপন (৩৮) রাজাপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ১(এক) বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হন। দন্ডিতদের মাঝে বাকিরা হলেন কবির আহম্মাদ (৩৮), আবদুর রহিম (২৫), বেলাল হোসেন (৫০), মামুনুল হক মামুন (৩৮) এবং আজিজুল হক (৪৫)। বেলাল হোসেন বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি।

 

অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক অমর কুমার সেন, জেলা পুলিশ ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *