ছবিতে -নুর উদ্দিন রিপন ও ইনসেটে নিহত আরজু আক্তার
ফেনী প্রতিনিধি :
সোনাগাজী উপজেলা দক্ষিণ চর সাহাভীকারি গ্রামের আবুল কাশেমের গ্রামে আরজু
আক্তার (১৮) ফেনীর কালিপালে ইয়াসিনের বিস্কুট কারখানায় কাজ করতেন ।
কারখানার পাশেই মালিকের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। পাশের কক্ষে থাকতেন
কারখানা মালিক মো. ইয়াসিনের ভাগিনা নুর উদ্দিন রিপন (২২)। সে দাগনভুঞার
নাজিমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
আরজুর মা ঝর্না বেগম জানায়,কিছুদিন পূর্বে আরজুর সাথে রিপন’র প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে । উভয় পরিবার তাদের বিয়ের ব্যপারে সম্মতি দিয়েছিলাম। গত শনিবার আরজু বাসায় একা ছিল।
সেদিন মধ্যরাতে রিপন আরজুর ঘরে প্রবেশ করে , একই টেলিফোনে উভয়ের সাথে
আমার কথা হয়। পরদিন রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর মডেল থানার এসআই
নাছির উদ্দিনের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমার মেয়ে মারা গেছে।
আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, গলায় ওড়না বাধা এবং উলঙ্গ অবস্থায় মেঝেতে আমার মেয়ে আরজুর নিথর দেহ পড়ে আছে। তিনি আরো জানান, উভয়ের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেরে কারখানা মালিক মো. ইয়াসিন ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে খুন করেছে।
ওই কারখানার শ্রমিক আঁখি আক্তার বলেন, রিপন ও আরজুর বিয়ের
সিদ্ধান্ত হয়েছিল , এতে বাধা ছিল শুধুই কারখানা মালিক ইয়াসিন। পলাতক
হওয়ায় কারখানা মালিক ও ভাগিনার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফেনী মডেল থানার এসআই নাছির উদ্দিন বলেন, রবিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে
নিহত শ্রমীকের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে সোমবার পরিবারের কাছে
লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। সুরতহাল
রিপোর্টে হত্যার আলামত পেলে অবশ্যই হত্যা মামলা নেয়া হবে। তবে ঘটনার পর
থেকে কারখানা মালিক মো. ইয়াসিন ও তার ভাগিনা নুর উদ্দিন রিপন পলাতক
রয়েছে।
#এমএ/বাংলারদর্পণ