দাগনভূঞায় সীমাহীন যানজট, জনদূর্ভোগ চরমে | বাংলারদর্পণ

মো. সাইফ উদ্দিন মিঠু, দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে সীমাহীন যানজটে বিপন্ন দাগনভূঞা বাজার, পথ চলাচলে দূর্ভোগ।

এছাড়াও গণ পরিবহন, সিএনজি, অটোরিকশাসহ সকল যানবাহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ও পারস্পরিক দূরত্ব। ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের হারও বাড়ছে।সময়ের আবর্তে সারাদেশে যোগাযোগ ব্যাবস্থায় অভাবনীয় উন্নতি লাভ করেছে। ফেনী জেলাও এর ব্যাতিক্রম নয়।

ইতোমধ্যে গ্রাম থেকে গ্রামে যাতায়াতের সড়কগুলো পিচঢালা সড়কে পরিণত হয়েছে।
কালের পরিক্রমায় ফেনী- নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি ফোর লেন করার কাজের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিন্তু এই ফোর লেন প্রকল্প এলাকার দাগনভুঞা অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এটি একটি উপজেলা সদরের পৌরসভা এবং বর্ধিষ্ণু জনপদ।

দাগনভুঞা পৌর শহরের মধ্যদিয়ে চলে যাওয়া সড়কটি হাতিয়া, ভোলা, খুলনা, বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষীপুর ও নোয়াখালীর সাথে রাজধানী ঢাকা এবং বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম এর সাথে যাতায়তের মাধ্যম ।

সরেজমিনে দাগনভূঞায় বাজারে গিয়ে দেখা যায় যান জটের দীর্ঘ লাইন। এর ফলে যাত্রীদের পোহাতে হয় দূর্ভোগ।পথচারীদেরকে ও পোহাতে হয় দূর্ভোগ। বাস, সিনএনজি ও অটোরিক্সার জন্য নেই নির্ধারিত স্থান।

ফলে সকল ধরণের যান বাহন যে যার ইচ্ছে মতো দাঁড়িয়ে ছাত্রী ওঠা নামা করাচ্ছে, ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এছাড়াও যত্রতত্র হকার বসায় সৃষ্টি হয় যানজটের।

এই ফোরালেন প্রকল্প বাস্তবায়নে ও যানজট নিরসনে সচেতন মহল ও পথচারীদের সাথে কথা বললে তারা দাবি করেন নতুন রাস্তা হওয়া সময় রাস্তা যেন ভালভাবে মেরামত করা হয়। তার সাথে সাথে যেন সুদূর প্রসারি পরিকল্পনা করা হয়। বাজারে যেন আরসিসি রাস্তা করা হয়।

দাগনভূঞায় বাজার কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কায়েশ রিপন জানন, যানজটের সমস্যাটি দীর্ঘ সময়ের।

এছাড়াও রাস্তার পাশে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারের জন্য নেই কোন ওভারব্রীজ বা জ্বেব্রা ক্রসিং। ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা।

যানজট নিরসনে পৌরসভা সাথে যৌথ মিটিংয়ে বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে যানজট নিরসনে একাধিক প্রস্তাব থাকলেও এখনও পর্যন্ত কোন প্রকার সমাধান হয়নি।

তিনি আরো বলেন, দাগনভূঞার মূল প্রাণ কেন্দ্রে বাস, সিএনজি ও অটোরিকশায় অবস্থানের ফলে এই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বাস, সিনএনজি ও অটোরিকশার জন্য যদি স্থান নির্ধারণ করা হয় তাহলে যানজট অনেকাংশেই কমে যাবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, যানজট নিরসনে পৌরসভা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের অভাবে এমন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এসব সমস্যা সমাধানের জন্য, জিরো পয়েন্টে ট্রাফিক সিগনাল ও রাস্তা পারাপারের জন্য ফুট ওভারব্রিজ যেন করা হয়। ফলে যানজট নিরসন হবে এবং স্বস্তি ফিরে আসবে পথচারী ও যাত্রীদের। এছাড়াও এসব বাস্তবায়িত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বাংলারদর্পণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *