তানভীর আলম :
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ভোটারের কাছে আহবান জানিয়ে বলেছেন, সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ভোট চাইতে এলে তার কাছে প্রশ্ন করবেন, গত দুই বছরে সরকার তাকে ৩শ’ ৫৫ কোটি টাকা উন্নয়ন সাহায্য দিয়েছিল। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে দু’টি প্রকল্পে এ টাকা দিয়েছিল। এ টাকা সাবেক মেয়র সাক্কু কোথায় খরচ করেছেন? এ টাকা কুমিল্লায় বিছিয়ে দিলেও কুমিল্লার চেহারা পাল্টে যেতো। সীমা অভিযোগ করে বলেন, সরকার উন্নয়নের জন্য টাকা দিয়েছে আর সাক্কু দুর্নীতির মাধ্যমে তা লুট করেছেন। কুমিল্লা শহরকে জলাবদ্ধতামুক্ত করার বদলে জলাবদ্ধ শহরে পরিণত করেছেন। সদর দক্ষিণের ৯টি ওয়ার্ডে বিন্দুমাত্র উন্নয়ন করেননি।আঞ্জুম সুলতানা সীমা বুধবার বিকালে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন।আঞ্জুম সুলতান সীমা বলেন, ২০১৪ সালের অক্টোবরে সিটি গভর্ন্যান্স প্রজেক্টের মাধ্যমে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনকে ২৮৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা প্রদান করে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত উন্নয়নের জন্য (জিওবি) ৬৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা দেয়া হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এ দুই প্রকল্পে মোট ৩শ’ ৫৪ কোটি ৭৪ লাখ প্রদান করে। এ টাকা যদি লুট না হতো কুমিল্লার মানুষ তার সুফল পেতো। সরকার টাকা দিল উন্নয়নের জন্য আর সিটি কর্পোরেশন উন্নয়ন না করে দিয়েছে কুমিল্লাবাসীকে দিয়েছে দুর্ভোগ।তিনি বলেন, কুমিল্লা শহরের রাস্তায় ও পার্কে প্লাস্টিক গাছ লাগানো হয়েছে। কুমিল্লাবাসীর কি দুর্ভাগ্য।আঞ্জুম সুলতানা সীমা চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বরাদ্দ দেয়নি বলে সাক্কু মিথ্যাচার করেছে। অথচ আমার হাতে ৩শ’ ৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রমাণ রয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের কপিআমার কাছে আছে।এছাড়া কেন্দ্রিয় নেত্রীবৃন্দও গতকাল গণসংযোগকরেন। তার মধ্যে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম কোটবাড়ী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন স্বাচিপ কেন্দ্রিয় নেতা ইকবাল আর্সোনাল, ডা. আজিজুর রহমান , আবদুল বাকী আনিস, মহিলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের অপু উকিল, ফরিদা লাইলী,আওয়ামীলীগ নেতা সুজিত রায় নন্দী, দেলোয়ার হোসেন, যুবলীগনেতা আতাউর রহমান আতা, ছাত্রলীগর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার রোটন, কেন্দ্রিয় নেতা ফয়সালসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলীয় অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা।