প্রতিবেদক :
এবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বাড়িতে ঢুকে ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত রাবেয়া আক্তার নাঙ্গলকোট উপজেলার মাদ্রা গ্রামের পূর্বপাড়ার আলী মিয়ার মেয়ে। নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ রোববার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
ওই ছাত্রীর নানী জমিলা খাতুন বলেন, রোববার সকালে তার মেয়ে জাহানারা বেগম মাদ্রা বাজারে যায়। এ সময় মোটরসাইকেলে করে তিনজন লোক তাদের বাড়িতে আসে। তিনি বলেন, আমি মনে করেছি তারা ব্যাংকের লোক। তাই তাদের বাড়িতে বসতে দেই। পরে তারা আমার নাতিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পালিয়ে যায়।
ওই ছাত্রীর মা জাহানারা বেগম বলেন, রোববার সকাল ১১ টার দিকে আমি বাজার থেকে বাড়িতে আসি। মাকে জিজ্ঞাসা করি রাবেয়ার কথা। মা বলে, তিনজন লোক বাড়িতে আসছে তাদের সাথে কথা বলছে। তুমি ঘরে গিয়ে দেখ। সঙ্গ সঙ্গে আমি ঘরে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, তার মেয়ের সাথে একই গ্রামের আবুল কালাম ও তার ভাই লিটনের সাথে বিরোধ ছিল। তারা বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে হত্যার হুমকিও দিয়েছে। যা নিয়ে এলাকায় সালিশও হয়েছে। এ ঘটনা তারা জড়িত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেন জাহানারা।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই লক্ষ্মীপুরে হীরামনি ও ভালুকায় কানিজ ফাতেমা নামে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠে। সর্বশেষ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে রাবেয়াকে হত্যার ঘটনা ঘটলো।
