এবার হীরামনির পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন ফেনীর এডভোকেট শাহজাহান সাজু

প্রতিবেদক :

লক্ষীপুরে স্কুল ছাত্রী হীরামনিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা ও সেনবাগের উত্তর মানিকপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আর্থিক সহযোগিতা ও আইনি সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন এডভোকেট এম. শাহজাহান সাজু।

তিনি ফেনীর আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার আইনজীবী ছিলেন। বুধবার (১৭ জুন)বেলা ১২ টায় হীরামনির বাড়িতে ও বিকেলে সেনবাগ হাটিরপাড়ের মিজি বাড়ী গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ান।

 

 

এসময় মরহুম আবদুল হাকিম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন হীরামনির বাবার চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার ও সেনবাগে ভিকটিমের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। হীরামনির পরিবারকে আইনী সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া সাজু মনে করেন, তদন্তে গুরুত্ব দিলে দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব।

 

এ মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হীরামনির পরিবারকে সহায়তা করব। আশা করি পুলিশ দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ,কে,এম সালাউদ্দিন টিপু, সহায় এর সভাপতি মঞ্জিলা মিমি, ফেনী প্রেস ক্লাবের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এম শরিফ ভুঞা, নিরাপদ নোয়াখালী চাই’র সভাপতি সাইফুর রহমান রাসেল, সেনবাগ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফিরোজ আলম রিগ্যান, যুবলীগ নেতা গিয়াসউদ্দিন ভুঞা প্রমুখ ।

 

হীরামনি হত্যার ঘটনায় গত ১৫ জুন অয়ন ও সুমন নামে দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। ওইদিন তাদের জেলহাজতে পাঠান আদালত। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর বাইরে এ ঘটনার আর কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না থাকায় ক্ষুব্ধ স্বজন ও এলাকাবাসী। আদরের নাতনী হীরামনিকে হারানোর পর থেকে নানা আজগর আলীর কান্না থামছেই না।

 

শুধু তিনি নয়, হীরামনি হত্যার পর তার স্বজনদের আহাজারিতে ভারী যেন পুরো এলাকা। ক্যান্সার আক্রান্ত বাবার চিকিৎসার জন্য মাসহ সবাই যখন ঢাকায় তখন বাড়িতে একা হীরামনি। এ সুযোগেই গত ১২ জুন শুক্রবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে স্কুলছাত্রী হীরামনিকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন ১৩ জুন রাতে নিহতের মা ফাতেমা বেগম লাকি বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন।

 

অপরদিকে সেনবাগের এতিম বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর পরিবার কে আর্থিক অনুদান ও আইনি ভাবে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া পর্যন্ত পাশে থাকার ঘোষনা দেন শাহজাহান সাজু।

 

স্থানীয়রা জানান, হতদরিদ্র এতিম কিশোরীকে ১০ নরপশুর পাশবিক নির্যাতনে ভিকটিম সহ পুরো পরিবার ক্ষত বিক্ষত। পুলিশ জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করলেও ৭ আসামী এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে। অভিলম্বে পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে সর্বচ্চো শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তারা। বাংলারদর্পন  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *