দাগনভূঞায় মাটি ব্যাবসায়ীদের আতঙ্ক দুই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট

সুমন পাটোয়ারী দাগনভূঞা .
ফেনী দাগনভূঞায় করোনাকালীন ও কৃষি জমির মাটি কাটাসহ বিভিন্ন ধরণের
অনিয়মকে নিয়মে রুপান্তর করতে অব্যাহত চেষ্টার পাশাপাশি ভ্রাম্যমান আদালত
পরিচালনায় অনেকটাই নিয়মে আনার লক্ষমাত্রা পূরণে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার
চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দুই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) গাজালা পারভীন
রুহি।

জানা যায়, বৈশ্বিক করোনার মহাক্রান্তিলগ্নে সারাদেশের ন্যায় দাগনভূঞাও
দিনরাত কাজ করছেন তারা। জনসচেতনতা, মাস্ক পরিধান ও ব্যাবহার নিশ্চিতকরণ,
মাস্ক বিতরণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সরকারের নির্দেশণা পালন করণ,
অনিয়মতান্ত্রিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে মাঠে সার্বক্ষণিক
তদারকিতে রয়েছেন কঠোর পর্যবেক্ষনে।

যথারীতি চলছে ভ্রাম্যমান অভিযাণ
পরিচালনা ও অর্থদন্ড। বিশেষ করে দাগনভূঞায় দীর্ঘমেয়াদী কৃষি জমির মাটি
কাটা ও ফসলি জমির টপ সয়েল ধ্বংস করার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন উপজেলা
নির্বাহি অফিসার নাহিদা আক্তার তানিয়া ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) গাজালা
পারভিন রুহি। সমন্বয় করে করছেন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও জরিমানা এবং
পর্যবেক্ষন।

মধ্যেরাতেও অভিযাণে বের হওয়া প্রশাসনের এমন দুর্দান্ত সাহসি
পদক্ষেপ মাটি কাটার স্পটে গিয়ে অপরাধির জরিমানাসহ গাড়ি আটক ও মাটি
ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্বে নিয়েছেন কঠিন ব্যাবস্থা। একদিকে চলছে রীতিমত
পাহারা অন্যদিকে আতংঙ্ক কখন বের হন ভ্রাম্যমান আদালত। যথারীতি চোখের ঘুম
হারাম করে দিয়েছেন মাটি ব্যাবসায়ীদের। সাধারণ জনগনের ইতিমধ্যে আস্থার
জায়গা করে নিয়েছেন এ দুই প্রশাসনিক কর্মকর্তা।

দাগনভূঞা বাজার
ব্যাবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কায়েস রিপন জানান, প্রশাসনিক
কর্মকর্তাদের ভূমিকা বেশ প্রশংসনীয় কিন্তু কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী সংশোধন
হওয়া প্রয়োজন। ইতিমধ্যে অনেক রাস্তাঘাট, গ্রামীণ সড়ক বিনষ্ট হয়ে গেছে।
জনসাধারণের জন্য যা খুবই কষ্টকর ও ভোগান্তির বিষয়।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, করোনা মহাক্রান্তিলগ্নে সচেতনতা
সবার জরুরি এবং তা পালন করা সরকারের কঠোর নির্দেশণা রয়েছে। আমরা সে লক্ষে
আন্তরিকভাবে কাজ করছি। কৃষি জমির মাটি কাটা ও নিয়ম অমান্যকারীদের

বিরুদ্ধে এ অভিযাণ অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি সকল জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়
বসবাসকারীদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন মনে করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *