সিরাজ উদ্দৌলা লিংকন,কয়রা, খুলনা >>>
পাশেই উঁচু রাস্তা এবং কাছা কাছি ২নং কয়রা দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট শেখ বাড়ি জামে মসজিদ ( যেখানে নিয়মিত নামাজ আদায় হচ্ছে ) থাকতে ঈদের জামাত কেন পানিতে দাড়িয়ে পড়া হলো? জায়গা যদি না থাকতো তাহলে একই সময়ে তার পাশে রাস্তার উপর আরেক টি জামাত কি ভাবে পড়ানো হল ?
আর পানিতে নামাজের ইমামতি করেন খুলনা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ খ ম তমিজ উদ্দীন। আর তার পিছনে দাড়িয়ে নামাজ পড়লেন কয়রা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম। পানিতে নামাজ পড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ দেশ ব্যাপি শুরু হয় সমালচনা। সকলে বলতে চায়, পরিকল্পিত ভাবে পানিতে নামাজ পড়িয়ে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করা হয়েছে।
খুলনার কয়রায় ২০ মে বুধবার রাতে ঘুর্ণিঝড় আম্পান তান্ডবে লন্ডভন্ড কয়রা। সেই সাথে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৩ টি বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কয়রা সদর সহ ৪ টি ইউ ইউনিয়নের ৭০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়।ভাঙ্গন কবোলিত এলাকার মানুুষ লোনা পানি থেকে রেহাই পেতে সেচ্ছা-শ্রমে কাজ করছে অবিরাম। ২৫ মে সোমবার সদর ইউনিয়নের ২ নং কয়রা এলাকার ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে সেচ্ছা-শ্রমে কাজ করতে আসা প্রায় ২ হাজার এলাকাবাসি কাজ শেষে, ইচ্ছাকৃতভাবে হাটু পানিতে দাড়িয়ে ঈদের নামাজ পড়েন।
এসময় এলাকা বাসি সহ গণমাধ্যম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও অনলাইনে খবর প্রকাশ করায় মুহুর্তের মধ্যে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায় এবং আলোচনা সমালচনার ঝড় বইতে থাকে। মূলত এই উপজেলায় আওয়ামী লীগ দুটি গ্রুপে বিভক্ত মূল গ্রুপটি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মহাসিন রেজার নেতৃত্বে অন্য গ্রুপটি উপজেলা যুবলীগ সভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম জামায়াত বিএনপি’র সাথে সখ্যতা করে যে কোন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়ে থাকে।
তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা অধিকাংশই জামাত-বিএনপি’র নেতৃত্ব দিয়ে থাকে ফলে তার শক্তি জামাত-বিএনপি’র বিশাল একটি ভোট কারণ কয়রা উপজেলা বরাবরই জামাতের ঘাঁটি এই বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে এর আগে তিনি ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয় পরে একইভাবে সদ্য উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের আমির তমিজউদ্দিন এর সমর্থনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহাসিন রেজা কে হারিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় (এই কারণে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে দুবার বহিষ্কার হয়েছেন)।
যে কারণে জামায়াত-বিএনপি ছাড়া মূল আওয়ামী লীগের কোনো সমর্থন তারওপর না থাকায় সে বরাবরই জামায়াতের আদেশ উপদেশ মাফিক চলতে বাধ্য হয় আর সে কারণেই ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে জামাতের উপদেশে পাশে মসজিদ এবং উঁচু রাস্তা থাকতেও পানিতে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ানো হয়েছে।
পানিতে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার মূল হোতা যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা বর্তমান কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম। মূলত তার মদদেই জামাত-বিএনপির একত্রিত হয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে পানিতে নামাজ আদায় করিয়েছে । বাংলারদর্পন