ফেনী প্রতিনিধি :
করোনাভাইরাসে গোটা বিশ্ব যখন আতঙ্কিত। তখন হঠাৎ করেই থেমে গেছে শ্রমজীবি মানুষদের জীবন জীবিকার চাকা। তেমনি সোনাগাজী উপজেলার উপকূলীয় দক্ষিণ চর দরবেশ ইউনিয়নের আদর্শ গ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্প , চর সাহাভিকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প ও শাহাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত ভূমিহীন নিম্ন আয়ের মানুষগুলো দিশেহারা।
ওই সব আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ জনসাধারণের করোনাভাইরাস সুরক্ষা সরঞ্জামাদি নেই। তাদেরকে ওই সব বিয়ষে জিজ্ঞেস করলে বলেন, যেখানে দু’মুঠো ভাত জোটাতে হিমশিম খাচ্ছি সেখানে কিভাবে স্যানিটারাইজার ও মাস্ক কিনবো।
আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নভেল করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে আমাদের উদ্বেগের বিষয়, কিভাবে আমরা ডালভাত খেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকবো।
হোটেল শ্রমিক জামশেদ আলম বলেন, আয় নেই এখন চলতেই পারছিনা। সামনে যে কি হবে তাও বুঝতে পারছিনা। ছেলেমেয়ে বউ নিয়ে প্রায়ই না খেয়ে থাকতে হয়। এসব কষ্ট বলে বোঝানো যাবেনা। সিএনজি চালক আবদুল কাইয়ুম বলেন, করোনাভাইরাসের কথা শুনলে শরীর শিউরে ওঠে। আয় রোজগার নাই, দিন আনি দিন খাই। এভাবে কতদিন চলবে জানিনা।
রিকশাচালক নুরুল হক বলেন, আমি গরীব মানুষ রিকসা চালিয়ে সংসার চালাতে হয়। লকডাউনের মধ্যে আমাদের বাঁচার উপায় নাই। একই অবস্থা সাহাভিকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প ও সাহাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে। চরম দুর্ভোগে এসব আশ্রয়ণ এলাকার নিম্ম আয়ের মানুষগুলো।
পল্লী চিকিৎসক মোহাম্মদ মোস্তফা বাংলারদর্পনকে বলেন, এখানকার নিম্ম আয়ের মানুষ গুলো খাবারের অভাবে নানান রোগে ভুগছেন । শিশুরাও পুষ্টিস হীনতায় ভুগছে। এদের চিকিৎসা নেয়ারও সামর্থ্য নেই।
চর দরবেশ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ভুট্টো বাংলারদর্পনকে বলেন, আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে সাধ্যমত সহযোগীতা করছি। বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের মাঝে বন্টনের ব্যাবস্থা করবো। ওইসব আশ্রায়ণ প্রকল্পের গরীব ভূমিহীন অসহায়, সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো এবং জরুরী ভিত্তিতে খাদ্য সামগ্রী ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা এখন সময়ের দাবী।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধূরী বাংলারদর্পনকে বলেন, সরকার প্রতিটি উপজেলায় ১৮মেট্রিক টন চাউল ও নগদ এক লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছেন । অবস্থার পরিবর্তন না হলে আরো বরাদ্দ দেয়া হবে। # বাংলারদর্পন