জয়নুল আবদীন চৌধুরী রনি :
আমর সকলেই শতভাগ অবগত আছি যে; ফেনীর জিয়াউল আলম মিস্টার একাধিক বৎসর জেল খেটে বেকসুর খালাস পেয়েছে। নির্দিষ্ট করে অভিযোগ তুলেই দূষ্কৃতীকারীরা তাঁকে অপরাধী বানিয়ে রাখার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন। তৎকালীন সময়ে মিস্টার তার ও তার সূভাকাঙ্খীদের সকল আর্জি আকুতি হা-হা-কার কারো হৃদয়ে মন্থন করেন নাই। একারমুল একরাম হত্যা মামলায় জেল খেটেছে মিস্টার। অথচ তিনি পেশায় একজন পরিশ্রমী ও সঠিক ত্যাগী নিরলস একজন আওয়ামী লীগের কর্মী এই বিষয়টি নিয়ে আজকের আলোচ্য নয়; তাই এইদিকে এগুলাম না। রাজনৈতিক বিষয়টি ফেনীর বর্তমানের কোন রাজনৈতিক অবস্থানে থাকা নেতাকর্মীরা অস্বীকার করা জো নেই।
দূস্কৃতীকারীদের টার্গেট মিস্টারকে দমন করার টার্গেট ছিলো এই বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত। এতে তাঁকে হত্যা মামলায় বা মাদক যেকোন মিথ্যায় জড়িয়ে ফেলাটাই তাঁরা (দূস্কৃতিকারীদের) মিশন ছিলো। এইটা শতভাগ বিশ্বাস আমি আপনি সকলেই করি যে, মহান রাব্বুল আলামিন যার সহায় হয় থাকেন তাঁকে মারার বা দমন করার সাদ্য কার! আল্লাহ সহায় হোক সব সময় নির্দোষিদের পক্ষেই থাকেন।
কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার ছিলো তৎকালীন সময়ে, সাংবাদিক পরিচয়ে, রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষক প্রায় বেশীর ভাগ শ্রেণি পেশার মানুষের মিষ্টারের দোষী ক’রেই নিউজ বক্তব্য কমেন্টে জেনে না-জেনেও অপরাধী করার অপচেষ্টা চালিয়ে ছিলেন! কিন্তু আমরা তখন কাউকে বুঝানোর জো ছিলো না। তারপরও বিশ্বাস ছিলো একমাত্র উপরওয়ালা উপর।
নির্ধারিত তারিখে মহান রাব্বুল আলামিনের উপর নির্ভর করেই মিস্টার হাজির হন মাননীয় আদালতে। আত্বসমর্পন করে আইনের দরজায় ঠকঠক করতে থাকেন ন্যায়ের জন্য। বছরের পর বছর এমনি একজন নির্দোষি ব্যক্তিকে হয়রানি শিকার হবে এমন আমরা কখনো আশা করিনি কখনো। এই দোষ আমরা কাকে দিবো কেউ কি বলতে পারেন?
মিষ্টার নির্দোষ। চিৎকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুততম চড়িয়ে ছিটিয়ে সকল সূভাকাঙ্খীদের আত্ব চিৎকার দেখেছিলাম পড়েছিলাম নিজেকেও তখন ক্ষমার যোগ্য মনে করিনি। সত্যি বলতে গেলে, মিষ্টার কে দমন করা ছিলো সকল বিএনপি জামাত শিবির ও কিছু নিচক মনমানসিকতার আওয়ামী লীগের ক্ষমতা লোভীদের টার্গেট ছিলো। মিষ্টার কে দমন করা মানেই ফেনীর রাজনৈতিক অবস্থান আওয়ামী লীগকে দমম করাই তৎকালীন সময়ে মিশন ছিলো। মিষ্টার কে দমন করা মানেই মাননীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী ভাইদের নেতৃত্বকে দুর্বল করাই এইসকল অপশক্তির টার্গেট ছিলো। যাক, রাখে আল্লাহ মারে কে? তাও আল্লাহ্। এটা আমি আমরা সকলেই শতভাগ বিশ্বাস করি।
মিস্টার নির্দোষ ছিলো। কেউ শোনে নাই কাহারো আকুতি। ঠাঁই হয় তার কারাগারে। অনেকের মহা খুশির চিৎকারও আমরা দেখেছি তেমনি দেখেছিলাম মাননীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী ভাইয়ের মিথ্যা অস্র মামলার দ্বিধা রায় নিয়ে অনেকের মহা খুশির চিৎকার! যাক
কারাগারে কাটতে থাকে তার দিনের পর দিন। মিস্টারকে আদালতে হাজির করলে তিনি বার বার বলতেন, আমার আল্লাহর উপর আমি বিশ্বাস করি, তোমরাও বিশ্বাস রাখ। আমার আল্লাহ সহায় হলে কেউ কিছুই করতে পারবেন না ইনশাআল্লাহ। আমরা দিনের পর দিন আদালতের বারান্দায় জেল গেইটে ঘুরতে থাকতে দেখেছি তাঁর চিন্তিত চেহারাটা। এখনো ভেসে উঠে সেই দিনগুলোর কথা।
আদালতের বারান্দায় জেলখানার বারান্দায় ঘুরে ঘুরে চরম হতাশ আর ক্লান্ত মিস্টারকে দেখেছি বিগত সময় গুলোতে। জাতীয় ও লোকাল মানবাধিকার কমিশনের মানবতার ফেরিওলারা চিৎকার করতে দেখি কিন্তু তাঁরা কি আদৌও অবগত আছেন মানবাধিকার বা মানবতার মানে কী? বিস্তারিত কেউ একটু খুলে বলবেন কী? মিস্টার নিরপরাধ। এ কথা ফেনীর আদালত জানায়। আমরা জানি বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেল খাটছেন তিনি। সামাজিকভাবে নির্যাতিত, অপদস্থ হয়েছেন তিনি। এর দায় কার? কারা এই জন্য দায়ী? তাঁর জন্য কি তৎকালীন সময়ে মানবাধিকার ছিলো না? এই বিষয়টি নিয়ে আপনি আমি কতটুকু দায় এড়িয়ে যেতে পারি কেউ একটু বলবেন কি?
ভুল বা দায় যাদের কারণেই হোক, মিথ্যা অভিযোগে মিস্টার বছরের পর বৎসর জেলে কাটিয়েছেন এটাই বাস্তবতা তেমনি একরামুল হক একরাম মারা গেছে এটাও সত্যি। একরাম হত্যার বিচার সবাইর চাওয়া কিন্তু তাহার বিচার চাইতে গিয়ে নিরপরাধ নির্দোষ ব্যক্তিগুলোর জেল জুলুম নির্যাতন নিপিড়ীত অপদস্ত হেয় প্রতিপন্ন হওয়াতো আমরা চাই নি!
সমাজের চোখে, রাষ্ট্রের চোখে তিনি চিহ্নিত হয়েছিল অপরাধী হিসেবে। হারিয়েছেন সামাজিক সম্মান। আমরা জানি তার সূভাকাঙ্খিদেরকে কত অসম্মান সইতে হয়েছে! তাছাড়া ভুল হবেই বা কেন? একজনকে জেল হাজতে পাঠানোর পূর্বে সঠিক তদন্ত বাধ্যতামূলক। সেই তদন্ত সঠিক হয়েছিল কর্তৃপক্ষের? তদন্ত হয়েছিল সত্য তেমনি সঠিক তদন্ত হয়েনি এটাও সত্যি।
সঠিকভাবে তদন্ত আমরা তখন বার বার দাবি করছিলাম, তাছাড়া একরকম দেখতে হতো এটাই যদি বিচারের মানদণ্ড হয়, তাহলে তো এদেশের সকলেই বড়ই বিপত্তির। কখন যে কে কার অপরাধে জেল খাটে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমনই যদি হয় আমাদের অবস্থা, তাহলে এসব বিষয় গুলো নিয়ে জনগণের কষ্টের একটা মাত্র জীবন কতটা নিরাপদ! আগামীকাল আমি আপনি কতটা এমন মিথ্যা অভিযোগ হতে নিরাপদ আমি বিনয়ের সাথে জানতে চাই!?
বিনাবিচারে কাউকে কারাগারে বছরের পর বছর আটকে রাখা চরম অন্যায়। বর্তমানে বিনাবিচারে কারাগারে কেউ আটক রয়েছে কি-না, সে বিষয়ে জরুরি তদন্ত করা প্রয়োজন। ভিকটিমদের চিহ্নিত করে তাদের মুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাছাড়া যেসব মানুষজন বিনা দোষে বন্দিরা দীর্ঘদিন জেলখানায় থেকে শারীরিকভাবে ও মানসিক ভাবে অচল হয়ে পড়েন, তাদের বিষয়ে সরকার বিবেচনা করাও খুবই প্রয়োজন।
আমাদের দেশের দরিদ্র ও সঠিকনিরক্ষর জনগণ আইনি অধিকার সম্পর্কে জানে না। সচেতনও নয়। দেশের প্রতিটি মানুষের আইনি অধিকার নিশ্চিত করতে হলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক। আইন নাগরিককে কতটুকু কী অধিকার দিয়েছে, সেটা জানলে অকারণ জেল-জুলুমের হার কমে যাবে ইনশাআল্লাহ। মহান রাব্বুল আলামিন সকলের সহায়ক হোক, এবং সকলের মানসিক শক্তির পাশাপাশি একজনের বিরুদ্ধে গুজবের রটানো হতে সকলকে সঠিক জ্ঞান দানের তৌফিক দান করুন। (আমিন)
জয়নুল আবেদীন চৌধুরী রনি,
সাহিত্য সম্পাদক, ফেনী জেলা ছাত্রলীগ।