বাংলার দর্পন ডটকম : অসহায় মানুষের হৃদয়ের কথা।
“এইখানে আমাদের বেশ বড় একটা পরিবার। সবার আগে আমি আর আমার স্বামী ঢাকায় আসি। এরপর বিভিন্ন সময়ে আমার শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ ওরাও গ্রাম ছেড়ে আমাদের সাথে থাকতে শুরু করে। আমাদের পুরো পরিবারই আর্থিকভাবে আমার স্বামীর উপর নির্ভরশীল ছিলো। সে একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করে আর গত কয়েক বছরে বেশ ক’টা প্রোমোশন পেয়েছে। খুব সৎ আর পরিশ্রমী আমার স্বামী। আর এই কারণেই মনে হয় সে আমাদের পরিবারকে এইভাবে চালিয়ে নিয়ে আসছে।
এই কিছুদিন ধরে আমার স্বামীকে একটু একটু করে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি যাতে গার্মেন্টসে আমাকেও একটা কাজ দেয়। তাহলে আমিও তার সাথে পরিবারের খরচে কিছুটা সাহায্য করতে পারবো। সে রাজী কিন্তু তার মা কোনভাবেই রাজী না। সে এমনিতে আমার সাথে ভালোই, কিন্তু আমি ঘরের বউ হয়ে বাসার বাইরে যেয়ে কাজ করবো এইটা তিনি মানতে কোনভাবেই রাজী না। যতবারই আমি তাকে বোঝাতে যাই, প্রতিবারই তিনি পরিবারে এমনটা হবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেন। কয়েক বছর হয়ে গেছে, এখন আমি হাল ছেড়ে দিয়েছি আসলে। ঘরের কাজ করে সময় কাটাই আর এটাই আমার জীবন সেটা মেনে নিয়েছি। যদিও আমি খুব একটা খারাপ নেই।
এইসব কিছু অমিমাংসীত ব্যাপার আর এখন-তখন আর্থিক অনটন ছাড়া প্রতিদিন রাতে আমরা একত্র হই সবাই, একসাথে রাতের খাবার খাই আর ভালোবাসার, কাছের সব মানুষগুলোর সাথে একই ছাদের নিচে ঘুমাই।” – একজন তৈরি পোশাক কারখানার কর্মচারীর স্ত্রী।
সম্পাদনা / সৈয়দ মনির।