হার্ট অ্যাটাক ও হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা

বাংলার দর্পন ডটকম :

হার্ট অ্যাটাক একটি মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ অবস্থা যেখানে জীবন ও মৃত্যু খুব কাছাকাছি চলে আসে।

কোন ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হলে সেটি অল্পতেই ভাল হতে পারে আবার হতে পারে প্রাণঘাতী। তাই হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। চিকিৎসক ও রোগীর পরিবারকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে রোগী যাতে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পায়। সাধারণত ECHO, ECG করে নিশ্চিত হওয়া যায় রোগীর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা।  হার্ট অ্যাটাক এর চিকিৎসার প্রথম ধাপটি হল এসপিরিন গ্রুপ এর ওষুধ ও ইঞ্জেকশান দিয়ে রক্ত পাতলা করা। এর পর Primary Angioplasty করে জমাট বাধা রক্ত অপসারন করা। Primary Angioplasty করার পরেও অনেক সময় রোগী ঝুকি মুক্ত হয়না যদি রোগীর Cardiac Arrhythmia বা অনিয়মিত হৃদ স্পন্দন হয়। এই  অনিয়মিত হৃদ স্পন্দনের সমস্যাকে মোটেই অবহেলা করা যাবেনা কেননা,  অনিয়মিত হৃদ স্পন্দনের ফলে আবারো হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই হার্ট অ্যাটাকের প্রথম ৪৮-৭২ ঘণ্টা অনবরত ECG মনিটরিং করে দেখতে হবে অনিয়মিত হৃদ স্পন্দনের সমস্যা আছে কিনা। একই সাথে রোগীর রক্তচাপ ঠিক আছে কিনা সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। বেড সাইড ইকো করে সর্বদা হৃদযন্ত্রের পর্দার অবস্থার উপর নজর রাখতে হবে। Stethoscope দিয়ে দেখতে হবে হৃদযন্ত্র থেকে কোন অস্বাভাবিক শব্দ হচ্ছে কিনা। কারন রোগীর হার্টের ভেতরের বা বাইরের পর্দা ফেটে  গেলে তাকে সবচেয়ে মারাক্তক অবস্থা বলে গণ্য করা হয়। এ অবস্থায় রোগীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সার্জারি না করলে মৃত্যুর ঝুকি শতকরা ৯৯ ভাগ। সর্বোপরি হার্ট অ্যাটকের পর ২-৩ দিন রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। অবস্থা স্থিতিশীল হলে চিকিৎসকের দায়িত্ব রোগীকে কাউন্সেলিং করে অবহিত করা খাদ্যাভ্যাস, জীবন যাত্রা ও পরবর্তী চিকিৎসা সম্পর্কে যেমন Angiogram কখন করাবে ইত্যাদি।

একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, Angiogram করার পর চিকিৎসা গ্রহনের পূর্বে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ কার্ডিওলজিস্ট ও কার্ডিয়াক সার্জনের পরামর্শ নিতে হবে।  অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরন করলে দীর্ঘ মেয়াদি সুফল পাওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *