গিয়াস উদ্দিন রনি, নোয়াখালী :
চট্রগ্রাম থেকে এক বেসরকারী চাকরিজীবী (৩৫), করোনায় আক্রান্ত হয়ে পালিয়ে এলেন নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া ।
পরে ঘটনার ৭দিন পর খবর পেয়ে, বৃস্পতিবার রাতে স্থানীয় প্রশাসন করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (১২ জুন) বিকেলে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.নাজিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও জানান, রোগীর বাবা আমার কাছে তথ্য গোপন করে বলেন, তার ছেলের শরীরে করোনা উপসর্গ আছে। সে নমুনা দিতে চাই। পরে তিনি মুঠোফোনে আমার কাছে তার ছেলের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার কথা স্বীকার করেন। তখন মেডিকেল টিম ওই বাড়িতে গিয়ে রোগীকে সেবা দিয়ে আসেন এবং হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, হাতিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা চট্রগামে বসবাসরত অবস্থায় শরীরে জ¦র, সর্দি ও গলাব্যাথা দেখা দিলে তিনি গত (২৮ মে) চট্রগাম জেনারেল হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা দেন। পরে (১জুন) তার রিপোর্ট আসলে ওই রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে। কিন্ত গত (৪জুন) প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যে দীর্ঘ ৮ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে সে শারীরিক তথ্য গোপন করে গোপনে হাতিয়ায় নিজ বাড়িতে চলে আসেন।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, এটি একটি দুঃখজনক বিষয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে ওই ব্যক্তির বাড়ি লকডাইন করা হয়েছে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সকল সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা টেস্ট্রের জন্য পাঠানো হবে। – বাংলারদর্পন