সৈয়দ মনির আহমদ >>>
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় ২০১৮ ও ২০১৯ সালে প্রায় ৩৫৭ কি.মি. খাল খনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। অপরিকল্পিত ও ভেকু (স্কেভেটর) দিয়ে খনন করায় উপজেলার ১৫টি আঞ্চলিক ও গ্রামীন পাকা সড়ক খালে ধ্বসে গেছে । কিছু কিছু জায়গায় কৃষি জমি ও বসতভিটা খালে ধ্বসে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ না নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করছেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি জেলা সমন্বয় সভায় এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডি কর্মকর্তাদের দোষলেন সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন।
আমিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল আলম বাংলারদর্পনকে বলেন, আমিরাবাদ ইউনিয়নে খননকালে খাল সংলগ্ন প্রতিটি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে যান চলাচল মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। খননকালে ক্ষতিগ্রস্ত সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, যান্ত্রিক খননের কারনে আমার বসতঘর এবং এলাকার অনেকের ভিটেবাড়ী গ্রতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে এলজিইডি’র সোনাগাজী উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কাশেম বাংলারদর্পনকে বলেন, গত দুবছরে উপজেলায় খাল খননকালে এলজিইডির ১৫টি পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কসকা-নবাবপুর সড়ক, মিয়ারবাজার-আমিন উদ্দিন মুন্সি সড়ক, ও মানু মিয়ার বাজার সড়ক । টানা বর্ষনে আরও কয়েকটি সড়ক ধ্বসে যেতে পারে। কোন প্রকার পরিকল্পনা ছাড়াই ভেকু দিয়ে খনন করার কারনে সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি আরও বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনী দপ্তরের কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুরুন্নবী বাংলারদর্পনকে বলেন, সোনাগাজীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব ৫৯৮কি.মি খাল রয়েছে। মুহুরী সেচ প্রকল্পের পানি প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য খাল খননের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। সে অনুযায়ী গত দুবছরে প্রায় ৩৫৭কি.মি. খাল খনন করা হয়। খালের দুপাড় পানি উন্নয়ন বোর্ড’র নিজস্ব জায়গা।
অধিকাংশ জায়গায় খালের পাড় দখল করে এলজিইডি সড়ক নির্মান করেন। খননকালে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও জনস্বার্থে সড়কগুলো উচ্ছেদ করা হয়নি। তবে কিছু কিছু জায়গায় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেগুলো সংস্কারের দায়ীত্ব এলজিইডির।