নিজস্ব প্রতিনিধি চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নে বেতুয়া গ্রামে সুমি আক্তার নামে এক গৃহ বধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা কবিরাজ সিরাজুল ইসলাম জানান গত বুধবার দিবাগত রাত ২টার সময় তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু সুমি আক্তারের (১৯) মৃত্যু হয়েছে শুনেছি। নিহত গৃহবধূর স্বামীর নাম মহিউদ্দিন।(পিতা নুরু) দাঁতমারা ইউনিয়নের বড় বেতুয়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে স্হায়ী বাসিন্দা।
নিহতের পিতা পাতাছড়া ইউপির সাবেক সদস্য মো. আবু বক্কর সাংবাদিককে বলেন আমার মেয়েকে তার স্বামী মহিউদ্দিন (২৮) যৌতুকের জন্য অতিরিক্ত মারধর করেছে, এজন্য মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পিতা আবু বক্কর আরো জানান বিয়ে দিয়েছি ১১ মাস আগে ৭ লক্ষ টাকা দেনমোহরে দাদঁমারা ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামার ৪নং ওয়ার্ডের মোঃ নুরু ছেলে মহিনউদ্দিন এর সঙ্গে , কিন্তুু বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় শুরু হয় যৌতুকের জন্য নির্যাতন। একে একে বহুবার পারিবারিক দরবার ও গ্রাম্য শালিশ ব্যবস্তা হয়েছে । তার পরে টাকা দিলে ও থামছে না নির্যাতন কয়েক দিন পর পর শুধু টাকার জন্য চাপ দিয়ে বাবার বাড়িতে পাঠায়। বিয়ের পর মৃত্যু আগ পর্যন্ত ১১ মাসে তাকে গাড়ি কেনার জন্য নগদ একে একে ৭ লক্ষ টাকা দিয়েছি।
সে টাকা দিয়ে অটোরিকশা ও চাষের জন্য ট্রাক্টর কিনেছে তিন মাসের অন্তসত্বা গৃহবধুর স্বামী মহিনউদ্দিননের একে একে নির্যাতন সহ্য করে মেয়েটা, কিন্তু ঈদুল আযহার পরের বুধবার(১৪/৮/২০১৯) দিবাগত রাতে স্বামী মহিনউদ্দিনের নির্যাতনে আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে মেয়ে নিহত সুমি আক্তার তিন মাসের অন্তসত্বা ছিল। বুধবার রাত্র ২টা সময় আমাকে ছেলের চাচি ফোন করে বলে আপনার মেয়ের মারা গেছে, মৃত্যুর খবর শুনে বেয়াইদের বাড়িতে যান বেয়াই, বেয়াইন ও জামাইকে জিজ্ঞাসা করলাম কিভাবে আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে তারা বলে মেয়ে তিন মাসের অন্তসত্বা ছিল ড়ায়রিয়া ও বমির কারনে মৃত্যু হয়েছে। রাত ১০ টা থেকে শুরু হয়েছে রাত ১টার দিকে অবস্হা আশংকা দেখে ডাঃ নিয়ে আসলে ডাঃ মৃত বলে।
নিহত সুমি আক্তারের বাবা আবু বক্কর আরো বলেন ঈদের আগে মেয়ে আমার বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় বলে তার স্বামী আরো টাকার ১লক্ষ টাকার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দেয় না দিলে মেরে ফেলবে বলে জানায়। সংবাদ সংগ্রহ করতে সাংবাদিক শনিবার যটনাস্হলে গেলে নিহত গৃহবধু সুমি আক্তারের, স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি সহ যরের কাউকে পাওয়া যায়নায়। তাদের বসত যরে তালা মারা ছিল ফোন বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বেতুয়া ৪নং ইউপি সদস্য হাকিম বলে আমাকে মহিনউদ্দিন এর চাচি ফোন করে জানায় মহিনউদ্দিন এর বউ মারা গেছে, তাৎখনিক আমি রাত ২.৫ মিনিটে যটনা স্হলে ঘিয়ে দেখি অন্তসত্বা সুমি আক্তারের লাশ মাটিতে পড়ে আছে নিহতের স্বামী মহিনউদ্দিন এর পিতা নুরু কে জিজ্ঞাসা করলে বলে ডায়রিয়া ও বমিতে মারা গেছে।
দাদঁমারা পুলিশ ফাঁড়ির আইচি ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন ইউপি সদস্য ও মেয়ের বাবা ফোনে জানালে আমি রাত্রের যটনা স্হলে যায়। মেয়ের বাবার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে মহিনউদ্দিনকে আটক করে রাত্রে থানায় নিয়ে আসি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে মহিনউদ্দিন বলে অতিরিক্ত বমি ও ডায়রিয়া কারনে তার স্ত্রী মৃত্যু হয়েছে। দাদঁমারা ফাঁড়ির ইনচার্জ আরো বলেন সুমি আক্তারের লাশের সুরত হাল করেছি কোন রকমের আযাতের চিহ্ন পাইনি। পরের দিন বৃহস্পতিবার ২৪ যন্টা পর নিহতের স্বামী মহিনউদ্দিনকে একিই এলাকার মিমহাবিব,কামাল,ইসমাইল,তিন জনের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছি।
ভুজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আব্দুল্লাহ সাংবাদিকে জানান মেয়েটি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা, বুধবার রাতে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি।জিডি হয়েছে নং ৪৪৯ ১৫/৮/১৯ পরবর্তীতে ময়না তদন্ত রির্পোট আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একিই এলাকার নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক সাংবাদিক কে জানান বিয়ের পর থেকে বহু বিচার শালিশ ব্যবস্হা হয়েছে নগদ টাকা সহ ফার্নিচার দিয়েছে সব সময় টাকা চাইতো বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিত। মহিনউদ্দিনের বাড়ির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন বিয়ের পর থেকে দেখেছি টাকার জন্য ঝগড়াঝাটি করতো মহিনউদ্দিন, টাকা না আনলে বাবার বাড়ি থেকে মারধর করতো। এলাকার অনেকে বলেন অন্তসত্বা গৃহবধু সুমি আক্তারের মতো যেন আর কাহারো মেয়ে যৌতুকের জন্য জীবন দিতে না হয়। মহিনউদ্দিনের মতো নর পিচাজদের বিচার হওয়া দরকার।