মো: আব্দুর রহিম বাবলু > >
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঢাকা -চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশ্বে ঘোলপাশা ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী বাবুচি আদর্শ গ্রামে ভয়ংকর জ্বীনের বাদশা ও মাদক সর্ম্রাট ক্বারী বজলুর রহমানের(৪৫) বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা হয়েছে যার নং- ৪৯/২০১৭। সে বাবুচি আদর্শ গ্রামের মৃত- আলী আজ্জন মিয়ার ছেলে, কথিত জ্বীনের বাদশা ক্বারী বজলুর রহমান, ভূয়া জ্বীনের আসর ও মাদকের রমরমা ব্যবসা করে আসছেন। দীর্ঘদিন থেকে ভূয়া জ্বীনের আসর বসিয়ে এলাকার মানুষের সাথে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, যেন দেখার কেউ নেই। এলাকা বাসীর দাবি তার বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা হলে ও এখন পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
সূত্রে জানা যায়, ঘোলপাশা ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা মাসুমের সেল্টারে তার ব্যবসার কার্যক্রম চলে,চৌদ্দগ্রাম থানার কিছু অসাধু কর্মকর্তা মাঝে মধ্যে গিয়ে মাসোহারা আনেন, দিনে জ্বীনের আসর, রাতে চলে ফেন্সিডিল, ইয়াবা ও গাঁজার আসর,ভারত সীমান্তবর্তি তাঁর কাটার বেড়ার সন্নিকটে তার বাড়ি হওয়ায় ভারত থেকে অনায়াসে তাঁর বাড়িতে মাদক আনা নেওয়া করে তার বাড়িতে মজুদ রাখে।এখান থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মাদক সাপ্লাই করা হয়।কোন সাংবাদিক,বা প্রতারনার শিকার কোন ব্যাক্তি জ্বীনের আস্তানায় গেলে সর্ব প্রথম ফোন করবে মাসুম ফোনে যদি কাজ না হয় তাহলে তার লোক পাঠাবে,সূত্রে আরো জানা যায় জ্বীনের আস্তানা থেকে যুবলীগ নেতা মাসুম মাসিক ৫০ হাজার টাকা পায়।
সূত্রে জানা যায়, জীনের বাদশা বজলুর রহমান যাদের বিবাহিত জীবনে বাচ্চা হয়না তার নিকট চিকিৎসা করালে বাচ্চা হবে বলে,ও যাদের কান্সার জ্বীনের মাধ্যমে বাড়িতে এসে ইন্জেকশন দিয়ে যায়, প্রতি কান্সার রুগি থেকে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা নেন।স্বামি স্ত্রী অমিল,জাদু,বান টোনা সহ সর্ব রোগের চিকিৎসা দেন।
তার প্রতারনার শিকার নাঙ্গলকোট উপজেলার
রায়কোট ইউপির মাহিনি গ্রামের বাবু নামের এক যুবক তিনি জানান বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তার বোনকে নিয়ে যান জ্বীনের বাদশার কাছে
তার বোনের মারাত্নক অসুখ আছে,জ্বীনের মাধ্যমে ইন্জেকশান দেওয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা নেন ২মাসে কোন উপকার না পাওয়ায় টাকা ফেরতের জন্য গেলে সন্ত্রাসি দিয়ে কিডনি বিক্রি করার হুমকি দেয়।
সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কৌশলে হাজার হাজার টাকা লুটে নেয়। এবং কাজ না হলে তার নিকট আসলে মাদক সিন্ডেকের সদস্যদের দিয়ে মারধর ও অপমান করে বিদায় করে দেয়। এবং সে অবৈধ ভাবে অর্থ উর্পাজন করে তৈরি করেছে এক আলিশান বাড়ি, যাহা জ্বীনের বাড়ি নামে পরিচিত। আর তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করলে তাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হয়। মাদকের মামলা দিয়ে জেলে পাটিয়ে দেয়া হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাবুচি আদর্শ গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান মাদক ও জ্বীনের আস্তানাটি থেকে প্রতিদিন কয়েক জন যুবক আক্রান্ত হচ্ছে।
জ্বীনের চিকিৎসার নামে বিভিন্ন গাড়ি আসে এগুলো দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্হানে মাদক সাপ্লাই করে।
এ বিষয়ে জ্বীনের বাদশা ক্বারী বজলুর রহমানের ০১৭৯৬-৭০৬৪২৬ এ নাম্বারে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার ভোরে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী ঘোলপাশা ইউনিয়নের বাবুচি আদর্শ গ্রাম থেকে থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
জানা যায়, চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একটি দল এএস আই হিরনের নেতৃতে বৃহস্পতিবার ভোরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী বাবুচি আদর্শ গ্রামের জীনের বাদশা কারী বজলুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ ওই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে হেলাল উদ্দিন ও মৃত বাহার মিয়ার ছেলে আবদুর রশিদকে ৫০ কেজি গাঁজাসহ আটক করে।