নিউজ ডেস্কঃ
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ায় ভারতের সমালোচনা করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন।
চীন বলছে, লাদাখের সঙ্গে চীনের বিরোধীয় সীমান্ত রয়েছে। নয়াদিল্লি তার আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও ডন।
চীন এক বিবৃতিতে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে উল্লেখ করে বলছে, লাদাখ এলাকাটি বেশিরভাগ বৌদ্ধদের বসবাস। এটি কৌশলগতভাবে তিব্বত ও পাকিস্তানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র হুয়া চুনইয়াং মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, পশ্চিম অঞ্চলে চীন-ভারত সীমান্তে ভারত চীনা অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধীতা করে আসছে। ভারত অভ্যন্তরীণ আইন একতরফা সংশোধন করায় চীনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।
হুয়া আরও বলেন, কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা পাকিস্তান ও ভারতকে বিরোধীয় অঞ্চল নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।
চীন ভারতকে সীমান্তের সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তোলে এমন কোনো পদক্ষেপ এড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছিল।
কাশ্মীর নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি স্পষ্ট জানালেন, বাংলা কাশ্মীরিদের পাশে আছে। কাশ্মীরের মানুষ যেন নিজেদের বিচ্ছিন্ন না ভাবে কাশ্মীরের মানুষ সন্ত্রাসী নয় তিনি মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লা ও ওমর আবদুল্লাদের পাশে থাকার বার্তা দেন লোকসভায় একই দাবিতে সরব হন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, আমরা এই বিলটিকে সমর্থন করতে পারি না আমরা এই বিলের পক্ষে ভোট দিতেও পারি না সরকারের উচিত ছিল সব রাজনৈতিক দল এবং কাশ্মীরিদের সঙ্গে কথা বলা যদি আপনাকে স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানোর দরকার হয় তবে আপনাকে আলোচনার রাস্তায় আসতেই হবে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি সম্পর্কে আমার কোনো তথ্য নেই। আমি কেন্দ্রের সরকারের কাছে আবেদন করছি যেন তারা এবং কাশ্মীরের মানুষ নিজেদের বিচ্ছিন্ন না ভাবে, তার ব্যবস্থা করুন। কেননা কাশ্মীরের মানুষ সন্ত্রাসী নন।
তৃণমূলের লোকসভা দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও সংসদে একই দাবিতে সরব হন। তিনি ওমর আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতি এবং ফারুক আবদুল্লার গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারপরই বিক্ষোভ দেখিয়ে তৃণমূল সংসদ সদস্যরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস এমপি ও দলটির সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী।
মঙ্গলবার এক টুইটার পোস্টে তিনি বলেন, কাশ্মীরের মূলধারার রাজনীতিবিদদের গোপন স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। এটা অবশ্যই অদূরদর্শী ও বোকামি সিদ্ধান্ত। এটা সন্ত্রাসীদের দিয়ে নেতৃত্ব শূন্যতা পূরণে সহায়তা করবে।
রাহুল গান্ধী বলেন, আটক নেতাদের অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীরকে বিভক্ত, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কারাবন্দি কিংবা সংবিধান লঙ্ঘন করে জাতীয় ঐক্য হবে না।
কাজেই ক্ষমতার অপব্যবহারে ভারতীয় নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার কাশ্মীরের সাত দশকের বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন মোদি সরকার। এছাড়ার রাজ্যটিকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে দেয়া হয়েছে। এতে কাশ্মীরি লোকজনকে এখন ভারতের সংবিধানই মেনে চলতে হবে। বহিরাগতরাও রাজ্যটি জমি কিনে বসতি স্থাপন করতে পারবে