দীর্ঘ ৩ যুগ পর প্রধানমন্ত্রীকে বরণের প্রতীক্ষায় লক্ষ্মীপুরবাসী

 

 

মো: ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি : প্রায় বিশ বছর পর আগামী ১৪ মার্চ লক্ষ্মীপুর আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে প্রতীক্ষায় লক্ষ্মীপুরবাসি। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ইলিশ আর সয়াবিনসহ কৃষিসমৃদ্ধ এ জেলার মানুষ। লক্ষ্মীপুরকে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণাসহ ১৫টি দাবি জেলার সর্বস্তরের মানুষের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ‘নানা মানুষের নানা মত, জেলার উন্নয়নে লক্ষ্মীপুরবাসীর ঐকমত্য’- এ স্লোগানে জেলা স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ‘স্মরণীয়’ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো।

 

১১ মার্চ সকালে তার আগমন উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এসময় গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ১৪ মার্চ দুপুরে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রশাসন ও দলীয়ভাবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

 

সংবাদ সম্মেলনে গোলাম ফারুক পিংকু জানান , আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালে রামগঞ্জে সংক্ষিপ্ত নির্বাচনী পথসভায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি লক্ষ্মীপুর সফর করেছিলেন। প্রায় বিশ বছর পর তিনি লক্ষ্মীপুরে আসবেন। লক্ষ্মীপুরবাসী তাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত।

 

জেলার সর্বস্তরের মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে লক্ষ্মীপুরকে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা, মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, রেললাইন সংযোগ, চন্দ্রগঞ্জ উপজেলা বাস্তবায়ন, নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপন, নদী ভাঙন রোধে বরাদ্দ বৃদ্ধি, মজুচৌধুরীর হাট ও রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন, লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রাস্তা প্রশস্তকরণ, প্রেসক্লাবের বহুতল ভবন নির্মাণসহ ১৫টি দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় লক্ষ্মীপুরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি লোক সমাগম হবে বলে আশা করছেন তিনি।

 

জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী জানান, ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী রামগতি-কমলনগর মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়ে), যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, সদর উপজেলা পরিষদ ভবনসহ নবনির্মিত ১০টি স্থাপনার উদ্বোধন করবেন। এছাড়া তিনি ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল, প্রশাসনিক ভবন ও নাবিক নিবাস, লক্ষ্মীপুর পৌর আধুনিক বিপণি বিতান, মজু চৌধুরীর হাট নৌবন্দরসহ ১৭টি স্থাপনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

গত ৬ মার্চ জেলা স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম জানান, গত আট বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লক্ষ্মীপুরে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। ১৪ মার্চ তিনি এখানে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *