মুক্তিযোদ্ধা মৃধার চিকিৎসাসহ সকল দায়ীত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলার দর্পন ডেস্ক।সোমবার, নভেম্বর ১৪, ২০১৬

আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে নিপীড়িত মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার আহমেদ মৃধার সকল দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার তাঁর সহকারি একান্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জাহাঙ্গীর আলম আজ সকালে মুক্তার মৃধাকে দেখতে হাসপাতালে যান। এ সময় ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপুও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে পাঠানো নগদ এক লাখ টাকা অনুদান মুক্তার মৃধার হাতে তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম এই প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাকে অভয় দিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা আপনার পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। আপনার উন্নত চিকিৎসা থেকে শুরু করে ভালো-মন্দ সবকিছুই এখন থেকে দেখভাল করবেন তিনি। আপনার ওপর হামলাকারীরাও ছাড় পাবে না বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।’
জাতিসংঘের জলবায়ূ সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিতে আজ সকালে মরক্কো গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে তিনি দেশে ফিরবেন ১৬ নভেম্বর।
মরক্কোর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগের আগে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে গেছেন মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার মৃধার দেখভাল করতে। এমনকি ফিরে এসে তিনি আরো যা কিছু দরকার, এই নিপীড়িত মুক্তিযোদ্ধার জন্য করবেন বলে জানিয়ে যান।
ঝিনাইদহে জ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার আহমেদ মৃধাকে হাতুড়ি, রড়, লাঠিসোটা এমনকি ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে হামলে পড়েছিলো নিজ দলেরই কয়েকজন নেতা। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ওই হামলার ভিডিওচিত্র নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন করে বিভিন্ন গনমাধ্যম।
পরে ওই ভিডিওচিত্র স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধার ওপর এমন নৃশংস হামলায় স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা দেশ। ক্ষোভ আর নিন্দা জানান বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মুক্তার মৃধা -কে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিলো বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমার পাশে দাঁড়াবেন। আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। এখন আমি ভরসা খুঁজে পেতে পারি আমার ওপর হামলাকারীদের বিচার নিয়ে। আমার আরেকটি প্রত্যাশা- অন্তত মৃত্যুর আগে যেন একবার প্রধানমন্ত্রীকে সামনে পাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *