সােনাগাজী প্রতিনিধি:
ফেনীর সােনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভােয়াগ গ্রামে প্রবাসী ওমর ফারুকের স্ত্রী উম্মে কুলছুমকে শ্বশুর পরিবারের লােকরা যৌতুকের দাবীতে তার কক্ষে তালাবদ্ধ করে হত্যার চেষ্টার অভিযােগ পাওয়া গেছে। ১মাস বয়সী দুধের শিশুকেও মায়ের সঙ্গে তালাবন্দি রাখা হয় ।
গত ১৯জুন খবর পেয়ে গৃহবধুর মা জহুরা খাতুন ও বোন কামরুন নাহার লিপি ঘটনাস্থল গেলে উম্মে কুলছুমের শ্বশুর আবুল কাশেম (বায়ু কাশেম), শ্বাশুড়ি মমতাজ বেগম, দেবর শিমুল, ননদ মুন্নী আক্তার ও সীমা আক্তার কৌশলে তালাবন্দি গৃহবধুর মা বােনকেও ঘরের ভিতর তালাবন্দি করে রাখে এবং সবাইকে হত্যা করে লাশগুম করার প্রস্তুতি নেয়।
গৃহবধুর ভাই রফিকুল ইসলাম জিহাদ খবর পেয়ে মতিগঞ্জ ইউপি সদস্য আবদুর রহিম খােকনকে নিয়ে বােনের বাড়ীতে গিয়ে মা জহুরা খাতুন ও বােন কামরুন নাহার লিপিকে উদ্ধার করে আনেন। কিন্তু গৃহবধু উম্মে কুলছুম তার ১মাসের দুধের শিশুসহ ঘর তালাবন্দি থেকে যায়। গৃহবধুর মা বােন অনেক চেষ্টা তদবির করেও মেয়েকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করতে ব্যার্থ হয়ে ২০জুন সােনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযােগ দিলে এস.আই জােবায়েরের নেতৃত্ব একদল পুলিশ কাশেমের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তালাবন্দি গৃহবধুকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেন।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গৃহবধুর শ্বাশুড়ি মমতাজ বেগম ১মাস বয়সী শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ পিছু ধাওয়া করে দুধের শিশুকেও উদ্ধার করে। যৌতুকের জন্য গৃহবধুকে এমন নির্মম নিষ্ঠুর অত্যাচারের ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নির্যাতিত গৃহবধুর মা জহুরা খাতুন তার মেয়েকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করায় সােনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিন আহমদ ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকারী এস.আই জােবায়ের এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী কররন।