মীরসরাইয়ে মামলার বাদিনীকে বিয়ে : একদিন পর উদাও পুলিশ পরিদর্শক মিজান

মীরসরাই প্রতিনিধি :
নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার বাদিনী রাশেদা আক্তার সুমি(৩৪) ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর মীরসরাই থানায় গেলে পরিচয় হয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক  (অপারেশন) মিজানুর রহমানের (৪৪) সাথে। ওই সময় মিজানুর রহমান কৌশলে  তাঁর পরিচয় ও ফোন নাম্বার সংগ্রহ করেন। নিয়মিত ফোনালাপের পর বিয়ের প্রলোভনে তাদের পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। সুমি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা ও মীরসরাই পৌরসভাস্থ উত্তর আমবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা। মিজানের স্ত্রী ও দুই সন্তান এবং বিধবা সুমিরও ২ সন্তান রয়েছে।

 

জানা যায়, ৭ মাস পরকীয়ার সম্পর্কের পর গত ২১ এপ্রিল সামাজিক ভাবে মিজানের সাথে সুমির বিয়ে হয় এবং ১০মে চট্টগ্রামের হালিশহর কাজী অফিসে ৫লক্ষ টাকা মোহরানা ধার্য্য করে তাদের কাবিন হয় (কাবিন নং ২/১৯)। সুমি জানান, সম্পর্ক চলাকালে তিনি বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আত্মহত্যার হুমকি দেয় পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। পুর্বের স্বামী (তালাকপ্রাপ্ত) ও সন্তানের বিষয়টি জেনে মিজান তাকে বিয়ে করেছেন। এসব প্রমানাধি আছে। কিন্তু বিয়ের ১দিন পর থেকে সে (মিজান) উদাও।

 

কোন প্রকার যোগাযোগ না করায়  মীরসরাই সার্কেল অফিসে অভিযোগ দেন সুমি। এএসপি (মীরসরাই সার্কেল) মো. সামছুদ্দিন উভয়কে ডেকে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন। জানাযায়, সম্প্রতি পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে সীতাকুন্ড থানায় বদলি করা হয়েছে।

টেলিফোনে মিজানুর রহমান জানান, ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী বিবাহ হয়েছে। সুমি একাধিক মামলার বাদি, তার সন্তান অাছে।  তার বিরুদ্ধে পরকীয়ার প্রমাণ পাওয়ায় গত ২৩মে নোয়াখালী জর্জ আদালতের আইনজীবি ফারুক আহমেদ এর মাধ্যমে তালাক দেয়া হয়। এবং  মোহরানাও আইনজীবির কাছে দেয়া হয়েছে।

 

তালাক প্রাপ্তির কথা অস্বীকার করে সুমি বলেন, মিজান তার পুর্বের স্ত্রীর ভয়ে যোগাযোগ করছেনা। মিজানের এহেন প্রতারনার দায়ে  প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য  উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সুমি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *