সোনাগাজীতে অপরাধ বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারন ‘ভূমি বিরোধ’

সৈয়দ মনির আহমদ >>>

ফেনীর সাগরস্নাত সম্ভাবনাময় সোনাগাজী উপজেলা প্রাচীনকাল থেকে অনেক কারনে বিখ্যাত । এখানে অনেক বুদ্ধিজীবি, মনিষী, কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তির জন্ম। কৃষি প্রধান এ উপজেলা তিন দিকে নদী বেষ্টিত। জেলার সকল থানা ও আদালতের সুত্র মতে এ উপজেলা অত্যন্ত অপরাধ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। গনমাধ্যমে প্রতিদিন এ উপজেলার কোন না কোন অপরাধের সংবাদ প্রকাশিত হয়।

 

দেখা গেছে, ওই সব অপরাধের অধিকাংশই ভুমি বিরোধ সংক্রান্ত। কয়েকজন অসৎ মুক্তার ও ভুমি কর্মকর্তার সহযোগীতায় ভুয়া দলিল ও খতিয়ান সৃজন করে অসহায় লোকদের ভুমি হাতিয়ে নেয় ভুমিদস্যুরা। সামাজিক বিচার ব্যাবস্থার নামে সমাজপতিরা এসবে উস্কানি দেয়। টাকার বিনিময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, অাইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মী সবসময় ভুমিদস্যুদের পক্ষ নেয়। এসব কারনে অপরাধি চক্র বার বার অপরাধে জড়ানোর সাহস পায়। ভূমি বিরোধের জের ধরে, খুন, লুট, ডাকাতি, অপহরন, ধর্ষন, চুরি, হামলা ও পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের জন্য স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কর্মী, সন্ত্রাসি ও জলদস্যুদের ভাড়া করেও অপরাধের ঘটনা ঘটানো হয়।

 

প্রতিদিন গড়ে সোনাগাজী থানায়  ২টি ও ফেনী আদালতে ১টি করে এ সংক্রান্ত মামলা হচ্ছে। এসব পাল্টাপাল্টি মামলায় সর্বস্ব হারাচ্ছে অহসায় মানুষ গুলো। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভুমিদস্যুরা।  ভুমি বিরোধের কারনে পরিবারের মামলা ও হামলার প্রাত্যহিক চিত্র দেখে অপরাধে জড়ায় তরুন -যুবকরা। এতে তারা পড়ালেখা বন্ধ করে,  মাদকে জড়ায় এবং তারাই এক সময় হয় সব অপকর্মের হোতা।

 

সংলিষ্ট কর্তৃপক্ষ সকল ভুমি বিরোধ নিষ্ফত্তি করতে পারলে এ উপজেলায় ৫০% অপরাধ কমবে। তবে এর জন্য লালসা ত্যাগ করে অান্তরিক হতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজপতিদের। নির্মুল করতে হবে চিহ্নিত ভুমিদস্যুদের।

 

(প্রথম পর্ব,  চলবে)

লেখক, সভাপতি-সোনাগাজী প্রেসক্লাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *