পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের খাই হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ দেখে জনমনে স্বস্তি

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাওঁ  ইউনিয়নের খাই হাওরের ১০ নং প্রক্লপ ফসল  রক্ষা বাঁধ নির্মানের কাজ দেখে খুশীতে আত্মহারা হয়ে উঠেছেন হাওর পাড়ের মানুষজন। এ কাজ দেখে আনন্দে মেতে উঠেছেন হাওর পাড়ের কৃষক কৃষাণী। অনেকের মনে গভীর ভাবনা যে বহু কষ্টের স্বপ্নের ফসল বুরো ধান এবার ঘরে উঠবে। হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের আগে অত্র এলাকার কৃষকরা আতংকে ভূগছিলেন।

 

কারণ বিগত দু/তিন বছর অকাল বন্যায় তলিয়ে গিয়েছিল তাদের একমাত্র সম্ভল বুরো ফসল। এনিয়ে হাওর পাড়ের কৃষদের মনে নানা দূচিন্তা ছিলো। হাওর পাড়ের কৃষকদের মতে এবার এ ইউনিয়নের মাঝে ফসল ঘরে তুলার জন্য বাঁধ খুব মজবুত হয়েছে। অনেকে কৃষকরা খুশীতে আত্মহারা হয়ে আবেগ আপ্লুত  কন্ঠে জানান, আমরা বহুদিন পূর্ব থেকে দেখে আসছি আমাদের  খাই  হাওরে ফসল রক্ষা  বাঁধ নির্মান করা হতো। কিন্তু এরকম মজবুত করে আগে কাজ করা হতো না, এবার যে ভাবে উচ্চু ও শক্ত হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে এবার হাজার গুন কাজ বেশি  হয়েছে। আগের দিনে নামমাত্র এ বাঁধে কাজ হতো। এবার খুব ভালো হয়েছে। আমাদের হাওর গুলো প্রায় রক্ষিত আছে।

গতকাল রবিবার  সকাল ১০ টায় পশ্চিম বীরগাওঁ ইউনিয়নের  খাই হাওরের ১০ নং   প্রক্লপ ফসল রক্ষা  বাঁধ সরজমিনে ঘূরে দেখতে গিয়ে সাধারণ কৃষদের সাথে আলাপ কালে এসব কথা শুনা যায়। হাওর পাড়ের বঞ্চিত কৃষকগোষ্ঠির মুখ থেকে । তারা আরো জানান, সরকার আমাদের হাওর রক্ষা বাঁধের জন্য প্রচুর পরিমাণ বরাদ্দ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের করুণায়  আমরা বাঁধ নির্মানে আমাদের ফসলের নিরাপত্তা পেয়েছি। তাই পশ্চিম বীরগাওঁ ইউনিয়নের  হাওর পাড়ের মানুষজনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।

ঠাকুরভোগ  গ্রামের হাছান  খাঁন নামের এক কৃষক জানান, এবার বাঁধ নির্মান কাজ অন্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো  হয়েছে শুধু তদারককারীদের কারণে। মৈৗখলা  গ্রামের কৃষক সাজন মিয়া নামের আরেক কৃষক জানান, হাওরের বাধের কাজ খুব ভালো হয়েছে এবার।কারণ আমাদের এদিকে গার্ড ছিলো কঠোর। অন্যদিকে যদি বাঁধ নির্মানে দূর্নীতি হয়ে থাকলে ও আমাদের এদিকে তদারাকি ছিলো খুব গরম।

ইউএনও স্যার সহ প্রশাসনের সকর্মকতা প্রতি সপ্তাহে আসতেন। আর আমাদের মেম্বার সুযোগ্য  আমিরুল ইসলাম ভাই  প্রতিদিন সাধারণ কেটে খাওয়া মানুষজনের মতো হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মানের জন্য বাঁধে তদারকি ও হাটা চলা করতেন।  দূর্গাপুর  গ্রামের  ফুজায়েল আহমেদ নামের আরেক কৃষক জানান, তুলনাহীন কাজ হয়েছে আমাদের বাঁধে।আমাদের মেম্বার আমিরুল ইসলাম  ভাইয়ের  তাগিদ দেওয়াতে আমাদের এই কাজ পাওয়া যথা সম্ভব হয়েছে। ইউনও সাহেব চেয়ারম্যান সাহেব পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের বাঁধের কাজের জন্য কঠোর জিম্মাদারি প্রদান করাতে। যা অন্য বাঁধের চেয়ে অধিক তুলনাহীন কাজ হয়েছে।

 

পশ্চিম বীরগাওঁ  ইউনিয়নের   খাই হাওর  প্রক্লপের সভাপতি,  ইউপি সদস্য  আমিরুল ইসলামের  তদারকিতে ব্যাপক কাজ হওয়ার বিষয়টি উনার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,

এই কাজের সফলতা আমার একা নয় এই সফলতা আমার  অত্র  এলাকার  প্রতিটি মানুষের।

এই  খাই হাওর পাড়ের  মানুষজন , আমাকে ও আমাদেরকে সর্বাত্মক ভাবে সহযোগিতা করছেন।তাই প্রতিটি কাজ সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছেন।

আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ সবার প্রতি ইনশাআল্লাহ এবার কৃষকের ঘোলায় ধান উঠবে।

 

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার  অত্র উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সভাপতি সফিউল্লার কাছে এ  বাঁধের ব্যাপারে  জানতে চাইলে  তিনি বলেন,পশ্চিম বীরগাঁ ইউনিয়নের  খাই হাওরের ১০ নাম্বার  বাঁধের কাজ খুব ভালো হয়েছে। স্হানীয়  এলাকার সকলের প্রচেষ্টায় এ কাজ করা সম্ভব হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *