পাকিস্তানের জঙ্গী অাস্তানায় ভারতের হামলা : প্রতিরোধের চেষ্টা পাক বিমান বাহিনির

নিউজ ডেস্কঃ

জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব কন্ট্রোল) পার হয়ে পাকিস্তান অংশে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে বিমান হামলার দাবি করেছে ভারত।

 

পাকিস্তান আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ভারতীয় যুদ্ধবিমান প্রবেশের কথা স্বীকার করলেও, দেশটির দাবি, উপযুক্ত জবাব দেয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান।

 

 


ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র খবরে বলা হয়, সরকারি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখা পার হয়ে ভারতীয় বাহিনী সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে হামলা করেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে এই হামলা করা হয়।


ভারতীয় বিমান বাহিনীর সূত্র দেশটির বার্তাসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে, ফ্রান্সের তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের মিরাজ ২০০০ মডেলের ১২টি যুদ্ধবিমান এ অভিযানে অংশ নেয়। এ সময় ১ হাজার কেজি বোম্ব ফেলে পাকিস্তান সীমান্তের সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।


গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পুলিশ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জওয়ান নিহত হন। পরে জইশ-এ মোহাম্মদ এ হামলার দায় স্বীকার করে। এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে ভারত। যদিও পাকিস্তান তা নাকচ করেছে।


পুলওয়ামা হামলার প্রেক্ষাপটে পরমাণু শক্তিধর দু’দেশের দীর্ঘ বৈরি সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। সীমান্তে উভয় দেশ সমরাস্ত্র ও সেনা মোতায়েন করে যুদ্ধের হুমকি দিতে থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে হামলার দাবি করল নয়াদিল্লি। এর আগেও ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে উরিতে ১৯ সৈন্য নিহতের জেরে পাকিস্তান ভূখন্ডে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি করেছিল দেশটি।

 


সর্বশেষ হামলার বিষয়ে পাকিস্তানের ডন পত্রিকা খবর দিয়েছে, ভারতীয় বাহিনীর বিমান নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের মুজাফফরাবাদে প্রবেশ করে। তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দিলে তারা পিছু হটে।


পাক সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ডিজি মেজর জেনারেল আসিফ গফুর তার টুইটারে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভারতীয় বিমানবাহিনী আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে। এরপর পাকিস্তান বিমানবাহিনী টের পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেয়। এতে ভারতীয় বাহিনী ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

 

বিজ্ঞাপন > সোনাগাজী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ দীন মোহাম্মদ।


পরে আরেক টুইটে আসিফ গফুর লেখেন, পাক বাহিনী সময়মতো এবং উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। মিসাইল ছুঁড়ে জবাব দিলে বালাকোট থেকে ভারতীয় বাহিনী পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *