চট্টগ্রাম ব্যুরো : সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে পরিচয় বহন করে তার শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ। শিক্ষা সংস্কৃতির চর্চা ছাড়া কোনো জাতি সভ্য ও উন্নত হিসেবে বিশ্বে পরিচয় দিতে পারে না। সংস্কৃতি চর্চা জাতিকে অশুভ শক্তি, সকল প্রকার অনাচার, অবিচার ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখে। এজন্য বর্তমান সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছে।
শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ‘নব আঙ্গিকে নবযাত্রার’ স্লোগানে নতুনভাবে চালু হওয়া থিয়েটার ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রামের (টিআইসি) উদ্বোধনকলে তিনি এসব কথা বলেন। সন্ধ্যায় মেয়রের ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে প্রায় ৯ মাস পর টিআইসিতে সাংস্কৃতিক কর্ম-চাঞ্চল্য ফিরছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি, টিআইসি-এর পরিচালক নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দারসহ বিপুল সংখ্যক সাংস্কৃতিক কর্মী।
ইনস্টিটিউট চত্বরে মুক্তমঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, টিআইসি নবনির্মাণে ভারত সরকার এগিয়ে এসেছে। এজন্য চট্টগ্রামবাসী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ভারতের জনগণ, সরকার এবং ভারতীয় দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মৈত্রীর বন্ধন সুদৃঢ় হয়। এই বন্ধন বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে উত্তরোত্তর আরো সুনিবিড় হয়েছে।
দুই দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পরস্পর একই সূত্রে বহমান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভারত সরকারের সহায়তা ও চসিকের অর্থায়নে থিয়েটার ইনস্টিটিউটের আধুনিকায়ন কাজ করা হয়েছে। টিআইসি’র ভেতরে আধুনিকায়নের জন্য ভারত সরকার ২ কোটি ৩ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৬ টাকা অনুদান দিয়েছে।
এ অর্থায়নে টিআইসি’র অডিটোরিয়াম সংস্কার, আধুনিক লিফট স্থাপন, কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সর্বাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, ছাদে ফেইল সংযোজন, ফ্লোর কার্পেটিং, ভেতরে বাইরে রঙকরণ, মঞ্চ, ব্যাকস্টেজ, গ্যালারি সংস্কার, টয়লেট সংস্কার ও মেরামত, বাইরে-লোহার সিঁড়ি ও সিকিউরিটি সিস্টেম উন্নত করা হয়েছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক মানের একটি দৃষ্টিনন্দন মুক্তাঙ্গন গড়ে তোলার জন্য টিআইসি প্রাঙ্গণে মানুষের বসার ব্যবস্থা করার সঙ্গে সৌন্দর্যবর্ধণে সবুজায়ন, এলইডি লাইট স্থাপন করেছে সিটি করপোরেশন।