ধর্ষণ রাজনৈতিক বিষয় নয় : আওয়ামী লীগ কোন ধর্ষকের দায়িত্ব নেবে না

নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশে নোয়াখালীতে নির্বাচনের দিন বিএনপিকে ভোট দেয়ায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের দ্বারা এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে তার কোন দায়িত্ব নেবে না।

দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী একথা জানিয়ে বলেছেন, “একটি অপরাধকে রাজনৈতিক আবরণ দেয়ার কোন সুযোগ নেই।”

স্থানীয় পুলিশ নির্বাচনের দিন গন ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।

তবে ধর্ষণের অভিযোগ যে নারী তুলেছেন তার স্বামী বলছেন, মামলার এজাহারে তিনি শুরুতে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, কারণ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ আসামীর নাম সেখান থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল।

তিনি বলেছেন, “আমি এইটা মানি নাই। কারণ মোট চারজন আসামি গুরুত্বপূর্ণ। এই চারজনকে তারা বাদ দিয়ে দিয়েছে। আমি মূর্খ মানুষ। লেখাইছি একটা, আরেকটা করে দিলেন কেন।”

মামলার এজাহারে ঘটনার বর্ণনা হিসেবে ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে’ লেখা রয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করছেন ধর্ষিতার স্বামী।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ ইলিয়াস শরিফ বলছেন, এই ধর্ষণের ঘটনা সত্যিই ঘটেছে বলে তারা জানতে পেরেছেন।

মামলার অভিযোগের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “৩০শে ডিসেম্বর রাত সাড়ে বারোটায় নয়জন আসামী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে ডেকে, স্বামী ও সন্তানকে মুখ বেঁধে ঘরে আটকে রাখে। এরপর তারপর তাকে বাইরে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমাদের কাছে এটি সত্য মনে হয়েছে।”

তবে এর কোন রাজনৈতিক দিক আছে কিনা সেটি তাদের বিবেচনার বিষয় নয় বলে মনে করছেন মি. শরিফ। তিনি বলছেন, “গ্রেফতারকৃত একজন ঐ এলাকার সাবেক মেম্বার আমরা সেটা শুনেছি। ওনার রাজনৈতিক পরিচয় আমরা দেখিনি। গনধর্ষণ একটা সিরিয়াস ক্রাইম। আমাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় অপরাধী কিনা।”

ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগ কর্মীরা এক নারীকে গন ধর্ষণ করেছে, এমন একটি খবর নির্বাচনের পর দিন থেকে শোনা যাচ্ছিলো।

এই অভিযোগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের কর্মী রয়েছেন। যাকে তার পদ থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত বাকিরা আওয়ামী লীগের কর্মী নয় বলে দাবি করা হচ্ছে।

স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া কি?

সুবর্নচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক বলছেন, “না এই পদে সে বহাল নেই। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের মিটিং এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *