নিউজ ডেস্কঃ
‘সঠিক-বিচক্ষণ-সাহসী নেতৃত্বের ওপর ভর করে একটি দেশ এগিয়ে যায়। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।’ গত বুধবার গনমাধ্যম কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য জি এম কাদের। তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির এখনো চেয়ারম্যান হইনি। হব হয়তো। নিশ্চয়ই ভালো লাগছে। এতে চ্যালেঞ্জও আছে। জাতীয় পার্টি জাতীয় পর্যায়ের একটি রাজনৈতিক দল। যদি চেয়ারম্যান হতে পারি, জাতীয় পর্যায়ে দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করতে পারব। দলের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব। একসঙ্গে কাজ করব। সবার মতামত নিয়ে কাজ করলে দলটা এগিয়ে যাবে। দেশের মানুষেরও কল্যাণ হবে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও ভালো থাকবে। পর পর দুটি জাতীয় নির্বাচনে প্রমাণিত হলো, আমরা জাতীয় পর্যায়ের পার্টি। দেশজুড়ে আমাদের সংগঠন আছে। আওয়ামী লীগের পরেই আমাদের অবস্থান।
আমরা মহাজোটের শরিক হয়ে নির্বাচন করেছি। দেশজুড়ে জাতীয় পার্টি-আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের নেতাকর্মীরা পাশাপাশি এক মঞ্চে বসে বত্তৃদ্ধতা করেছি। নেতাকর্মীরা একযোগে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট চেয়েছি। আমরা মহাজোটের সঙ্গে একটি কমন এজেন্ডা নিয়ে কাজ করেছি। ভোট চাওয়ার সময়ে আমরা বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষার কথা বলেছি। আমাদের বিজয়ের ব্যাপারেও আওয়ামী লীগের ভূমিকা রয়েছে। নির্বাচনের শুরু থেকে আমরা বলে আসছি—একসঙ্গে নির্বাচন করব, একসঙ্গে সরকার গঠন করব। এখন বিরোধী দলের ভূমিকায় বসে সরকারের সমালোচনা শুরু করলে মানুষ সেটা কিভাবে গ্রহণ করবে? আমাদের নেতাকর্মীরাই বা বিরোধী দলের ভূমিকা কিভাবে নেবে? সে কারণে আমরা ধারণা করছি, বিরোধী দলে বসলে এক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যখন আমরা বলেছিলাম মহাজোট মিলে সরকার গঠন করব, সে সময় তো ভাবতে পারিনি বিএনপি এত খারাপ ফল করবে। এ কারণে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। এ নিয়ে মহাজোটের শরিকদের সঙ্গেও আমাদের আলোচনা করতে হবে।
আগামী রাজনীতি শুভ দিকে যাত্রা করবে বলেই মনে করি। আসল কথা হলো, দেশে সুশাসন দরকার। গণতান্ত্রিক যাত্রাটা ঠিক রাখা দরকার। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা গেলে আশা করি দেশের মানুষ সুখী হবে, দেশে শান্তি আসবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একজন শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী। তিনি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। শেখ হাসিনা যেভাবে সব কিছুর ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে এগোচ্ছেন, তাঁর পক্ষেই সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব। একটি কথা বলতেই হয়, একটি দেশকে এগিয়ে নিতে যে ধরনের সঠিক-বিচক্ষণ-সাহসী নেতৃত্বের প্রয়োজন তার সব গুণ শেখ হাসিনার মধ্যে রয়েছে। তিনি এখন আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান। তাঁর মতো নেতৃত্ব সব সময় পাওয়া যায় না।
জাতীয় পার্টি জাতীয় পর্যায়ের একটি দল। জাতীয়ভাবে অবদান রাখার ক্ষমতা আছে আমাদের। চেয়ারম্যান হলে প্রথমেই পার্টির সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে উদ্যোগ নেব। দল যাতে জাতীয়ভাবে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সে জন্য দলকে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেব। জাতীয় পার্টি কখনো নেতিবাচক ধারার রাজনীতি করবে না। আমরা ইতিবাচক ধারার রাজনীতি করতে চাই।