মো: ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিভাগের দাবীতে উত্তাল হয়ে উঠেছে নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষ্ণীপুর। ফেসবুকে বইছে আলোচনা সমলোচনার ঝড়, ক্ষোভে ফেটে পড়ছে নারি, পুুরুষ শিশু, কিশোর,বৃদ্ধরাও এই নিয়ে বহুবার রাস্তায় দাঁড়িয়েছে লাখো লাখো মানুষ।
‘ময়নামতি ইউনিয়নের নামে কুমিল্লাকে বিভাগ নয়’ এ স্লোগানে ফেনী, লক্ষ্মীপুর চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলাকে সাথে নিয়ে নোয়াখালী বিভাগ গঠনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে নোয়াখালীর একাধিক সংগঠন।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা শহরের জজ কোর্ট সড়কে নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন ঐক্যমঞ্চ আয়োজিত মানববন্ধনে জেলার একাধিক সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম, নোয়াখালী জেলা জজ কোর্টের জিপি কাজী মানসুরুল হক খসরু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নোয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশোর, অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান আনছারী, দৈনিক সচিত্র নোয়াখালী পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল, দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার মো.হানিফ, সাংবাদিক জুয়েল রানা লিটন, মিলেনিয়ম টিভি, সময়ের কষ্ঠস্বর ইমাম উদ্দিন সুমন, শাহজাহান কচি, বোরহান উদ্দিন সবুজ, আরেফিন শাকিল, বিএনপি নেতা খলিলুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী জেলা নোয়াখালীকে বাদ দিয়ে কুমিল্লার একটি ইউনিয়ন ময়নামতি নামে বিভাগ ঘোষণা কোনো ক্রমেই মেনে নেয়া যায় না। নোয়াখালীর ভাষাগত বৈশিষ্ট যার সীমানা বুহত্তর নোয়াখালী অঞ্চল ছাড়িয়ে কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলার তিন ভাগের দুই ভাগ এলাকার লোকজন নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।
তাছাড়া নোয়াখালী জেলার সাথে বাকি পাঁচ জেলা অর্থাৎ ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলা সমূহের সাথে সড়ক ও রেলপথে চমৎকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। বিধায় ব্রিটিশ আমল থেকে রয়েল জেলা নামে খ্যাত নোয়াখালীকে বিভাগ গঠন অত্যন্ত যুক্তিসংগত বলে দাবি করেন তারা।
নোয়াখালী বিভাগ গঠনের নানা যুক্তি তুলে ধরে মানববন্ধন কর্মসূচী শেষ করে নোয়াখালী বিভাগ গঠনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন ঐক্যমঞ্চের নেতৃবৃন্দ।