নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুনভাবে রং পাল্টাতে শুরু করেছেন সাবেক স্বৈরশাসক ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। প্রতিটি নির্বাচনে উভয়দিক দিয়ে লাভবান হওয়া এরশাদ নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে বিভিন্ন সময় মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবার এরশাদ দাবি করেছেন, দেশের প্রত্যেকটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। কোন নির্বাচন নাকি সুষ্ঠুভাবে হয়নি।
এদিকে এরশাদের বক্তব্যকে দূরভিসন্ধিমূলক বলে অভিহিত করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নির্বাচনে ফায়দা লুটতে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজের প্রয়োজন বুঝিয়ে সুবিধা আদায় করতেই এরশাদ এমন বক্তব্য দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০ অক্টোবর জাতীয় সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেছেন তিনি। এরশাদের ভাষণে ছিল নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা। একবার তিনি বলেছেন সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। অথচ কিছুক্ষণ পরেই এরশাদ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়ী হয়ে দেশ শাসনের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। এরশাদের এমন বিভক্তিমূলক বক্তব্যে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নেতা-কর্মীরা। সূত্র বলছে, এরশাদের কোন বক্তব্য যে স্থায়ী নয় সেটিও ভালো মত জানেন কর্মীরা। উচ্চবাচ্য, হুংকার দিয়ে নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে ঠিকই এরশাদ আবার নিজের অবস্থানে ফিরে যাবেন। মাঝখান থেকে নেতা-কর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। সঠিক নির্দেশনা না থাকায় কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে সাধারণ ভোটারদের কাছে এরশাদের হয়ে ভোট চাইতে পারছেন না।
এই বিষয়ে বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, এরশাদের মত রাজনীতিবিদকে নতুন করে ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। তার মত সুবিধাবাদী রাজনীতিক বাংলাদেশে অদ্বিতীয়। প্রত্যেক সরকারের সময় তিনি সবচেয়ে বেশি সুবিধা অর্জন করেছেন। এখন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন করে পকেটভারী করার পাঁয়তারা করছেন। তিনি নিজেই ছিলেন স্বৈরাচার। অতীতে নিজেই তো সাজানো নির্বাচন দিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করেছেন। এ নিয়ে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হলেও এরশাদ তো কোন নির্বাচন কখনই বর্জন করেননি। সর্বশেষ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ঠিকই নিজের পাল্লা ভারি করেছেন। এই এরশাদকে দেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।