ভাতা পাচ্ছেন না মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হকের পরিবার : মানবেতর জীবন যাপন

সোনাগাজী  ফেনী) প্রতিনিধি :

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার  সোনাপুর গ্রামের মরহুম মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হক ভূট্টু’র  (গেজেট নং ১৯৬০/ মুক্তিবার্তা নং ০২১১০৫০০৮২) মৃত্যুর পরে ওয়ারিশী সনদ অনুযায়ী সকল ওয়ারিশ গনের সম্মতিক্রমে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী করিমের নেছা যথারিতী স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। দীর্ঘ বছর পরে একটি কুচক্রী মহলের যোগসাজসে মনোয়ারা বেগম নামের এক রহস্যময়ী মহিলা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হকের স্ত্রী দাবী করে সোনাগাজী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা কোন ধরনের তদন্ত না করে  মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর ভাতা বন্ধ করে দেন। ভাতা না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার অভাব অনটনে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী করিমের নেছা, পূত্র নেজাম উদ্দিন ও মাইন উদ্দিন বার বার সমাজসেবা অফিসে গিয়ে কাকুতি মিনতি করেও কোন কাজ হয়নি। ভূয়া স্ত্রীর দাবীদার মনোয়ারা বেগম এর মুক্তিযোদ্ধার সহিত কখনো বিবাহ হয়নি। বিয়ের কোন কাবিনও দেখাতে পারেনি। অথচ রহস্যজনক কারনে সমাজ সেবা কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কোন আবেদন-নিবেদনে কর্ণপাত করছেন না। নিরুপায় হয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা  বরাবরে গত ৩ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ করেন।   মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নেজাম উদ্দিন ও মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন- আমাদের পিতা একজন দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মনোয়ারা বেগম নামের কোন মহিলাকে আমাদের পিতা কখনো বিয়ে করেননি। বিয়ের কোন কাবিনও দেখাতে পারেনি। অথচ কুচক্রী মহলের যোগসাজসে ঐ মহিলা তার সন্তানদের জন্ম নিবন্ধনে আমাদের পিতার নাম ব্যাবহার করেছে। যাহা অপরাধমূলক প্রতারনা বটে।

মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী করিমের নেছা বলেন- আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হয়েও সন্তানদের নিয়ে একটি ভাঙ্গা ঘরে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছি। স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ব্যাতিত পরিবার চালানোর আর কোন উপায় নাই। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ী-ঘর করে দিচ্ছে। চিকিৎসা ভাতা ও চাকুরী-বাকরি সহ অনেক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। আমি কোন সরকারী সুবিধাই পাইনি। উপরন্তু বিনা কারনে সমাজসেবা কর্মকর্তা  ভাতার টাকাও বন্ধ করে দিয়েছেন। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রতারক মনোয়ারা বেগম ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাই। ঘটনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সোনাগাজী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন বলেন- মনোয়ারা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে ভাতা বন্ধ করা হয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *