সোনাগাজীতে অবৈধ অস্ত্র বিক্রেতারা ধরাছোঁয়ার বাহিরে | বাংলারদর্পন 

সোনাগাজী প্রতিনিধি : ফেনীর উপকূলীয় জলদস্যু ও সন্ত্রাসকবলীত সোনাগাজী উপজেলায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া হয়েছে বহুবার। গণমাধ্যমে তথ্য ও ভিডিও চিত্র প্রকাশের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ব্যাপক তৎপরতা দেখিয়েছিলো। উপকুলীয় জলদস্যু সর্দার আবদুর রহিম মানিক, আনোয়ার হোসেন মিন্টু, আবুল কালাম প্রকাশ ভাগিনা কালাম,  গাব্বা মাসুদ ও ল্যাংড়া কালাম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ক্রসফায়ারে নিহত হয়। তাদের সংগঠিত বাহিনী গুলোর দায়ীত্বে আছে তাদেরই অনুসারীরা। উপজেলা পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতারাও ওই বাহিনীকে পৃষ্টপোষকতা করে যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। তাদেরকে অবৈধ অস্ত্র ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম যোগান দেয় রাজনৈতিক নেতারা । কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি  অবৈধ অস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছে ভাড়া দেয় বলে প্রশাসনের কাছে অাছে।

 

পুলিশের তালিকা অনুযায়ী সোনাগাজীতে ডজনখানেক অস্ত্র বিক্রেতা রয়েছে, তবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের  তালিকায় সারাদেশের ৬৯৬ জন শীর্ষ অবৈধ অস্ত্র বিক্রেতার মধ্যে সোনাগাজীর দুই যুবদল নেতার নাম রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যমতে, দেশীয় তৈরি এলজি, কোয়ার্টার বন্দুক, পিস্তল ও গুলি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ওই সব ব্যাবসায়ীদের মাধ্যমে সোনাগাজীতে আসে। ওইসব ব্যাবসায়ীরা খুচরা বিক্রেতার মাধ্যমে এগুলো বিক্রি করে। আবার ভারতীয় ৭.৬৫ পিস্তল বর্তমানে সন্ত্রাসীদের কাছে খুব প্রিয়।

 

জানাযায়, বিলোনিয়াসহ আসপাশের সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারিরা ফেন্সিডিল ও গাঁজার সাথে ৭.৬৫ পিস্তল আমদানি করে, ফেনীর কতিপয় অস্ত্র ব্যাবসায়ীর মাধ্যমে সোনাগাজীর বিক্রেতাদের হাতে পৌছে।

 

পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে।  স্থানীয়দের মতে জাতীয় নির্বাচনের পুর্বে সোনাগাজী সহ সারাদেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হলে এর প্রভাব পড়বে নির্বাচনে। এবং নির্বাচনের পুর্বে সরকার বিরোধি পক্ষও সরকার পতনের অান্দোলনে ব্যাবহার করতে পারে এসব অবৈধ অস্ত্র। স্থানীয়দের দাবি তফসিল ঘোষনার আগেই উপকুলিয় সোনাগাজীতে বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে  অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা দরকার।

 

সম্প্রতি চর দরবেশ যুবদল নেতা রফিক, মঙ্গলকান্দি যুবলীগ কর্মী বেলাল, চর ছান্দিয়ার জসিম, নিজাম ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে পুলিশ।

মডেল থানার ওসি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যহত আছে।  তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা  অনুযায়ী শীঘ্রই  বিশেষ অভিযান হবে।

 

(ছবি প্রতিকি)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *