এইচ.এম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম :
গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল—বাগধারাটির মতো প্রাপ্তির আগেই আয়োজন করে রেখেছে চট্টগ্রামের রেলওয়ে বিভাগ। কাজ শুরু করার নাম নেই, তার আগেই পথচারী চলাচলের রাস্তাটুকুতে রেললাইনের স্লিপার ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
নগরীর মুরাদপুর পিলখানা রোড রেল গেইট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রেললাইনের পাশে রাস্তার অর্ধেক জায়গাজুড়ে রেললাইনের স্লিপার ফেলে পথে ব্লক তৈরি করেছে। রেলপথ নবায়ন কাজের জন্য স্লিপারগুলো এভাবে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে। এদিকে কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে তারও নিশ্চয়তা দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। রাস্তা অর্ধেক ব্লক থাকায় জনদুর্ভোগের পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে যানজট। আচমকা এমন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেও নির্বিকার রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
পিলখানা রোডের সাতকানিয়া স্টোরের কর্মচারী মোতালেব বলেন, ‘এগিন কোন হতা (কথা)! ইতারার (রেল কর্তৃপক্ষের) মতো এন্ডইল্লা বেয়াকুফ মানুষ আছে না? মাইনসে আডিবো (হাঁটবে) কেনে? রাস্তা ব্লক করে রাইক্ক্যে। এক্সিডেন্ট হইলে দায় কনে লইবো?’
এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা প্রাইভেট কারের চালক রোস্তম শেখ বলেন, ‘এমনিতেই রাস্তাটা ছোট। তারপর একই সাথে গাড়ি যাওয়া আসা করে। এর উপর অর্ধেকের বেশি এই পিলারগুলো এখানে রাখা। আল্লাহ না করুক কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে, তখন কী হবে?
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের (রিহাব) পরিচালক আব্দুল গাফফার মিয়াজী তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘কত বড় আক্কেল হীন বেয়াকুফ রেল কর্মচারী কর্মকতা। রাতের অন্ধকারে মুরাদপুর পিলখানা রোডে মানুষের চলাচলের রাস্তায় ফেলে গেল জিনিসগুলো।’
এ প্রসঙ্গে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান , ‘এসবে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এ ধরনের যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে আরেকটু সর্তকতা অবলম্বন করা দরকার। যাতে মানুষ চলাচলের ক্ষেত্রে বিঘ্ন না ঘটে। কেউ আঘাতপ্রাপ্ত না হয়।’
রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাইমুল হক বলেন, ‘এগুলো রেলপথ নবায়নের জন্য ব্যবহার করা হবে। আমাদের কাজের জন্যই রাখছি। কাজ শুরু হলে তখন আর থাকবে না।
কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা খুব বেশিদিন থাকবে না। আমরা সহসাই কাজ শুরু করবো।’
এক জায়গায় স্তুপ করে না রেখে এভাবে ছড়িয়ে রাখা কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এক জায়গায় রাখলে তো সেটা পরে টানা লাগবে। তাই কাজের সুবিধার্থে রেললাইনের পাশে রাখা হয়েছে।