রাত পোহালেই রাসিক নির্বাচন: মুক্তিযোদ্ধাপুত্র লিটন বনাম রাজাকারপুত্র বুলবুল

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাসিক নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা আনুষ্ঠানিক ভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শনিবার রাত ১২ টা থেকে। ভোট আনন্দে মেতে উঠার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে রাজশাহী নগরবাসী। আজ রাত পোহালেই তাদের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটবে। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে নগরবাসী বেছে নিবেন তাদের কাঙ্খিত নগরপিতা। এমনটাই প্রত্যাশা নগরবাসীর।

এবারের রাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সংঘটক ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম কামারুজ্জামানের পুত্র খায়রুজ্জামান লিটন এবং ৭১ এ পুঠিয়া শান্তি কমিটির অন্যতম নেতা ও রাজাকার ডাঃ আব্দুর রশীদের পুত্র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তাই এবারের রাসিক নির্বাচনে মূলত ভোটের লড়াই হতে যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাপুত্র বনাম রাজাকারপুত্র। এ যেন এক টুকরো ৭১ ফিরে এসেছে রাজশাহীর বুকে।

স্থানীয় একাধিক বয়োজ্যেষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বুলবুল একজন রাজাকারের সন্তান। তার বাবা ডাঃ আব্দুর রশীদ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শান্তি কমিটির সক্রিয় নেতা ছিলেন। এ বিষয়ে ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা পত্রিকায় বিবৃতিও দিয়েছেন। বুলবুলের বাবা ডাঃ আব্দুর রশীদ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যোগসাজসে পুঠিয়ায় সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি ধ্বংস, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। ৭১ এ বুলবুলের রাজাকারের বাবার নৃশংস নির্যাতনের ঘটনা স্মরণ করে এখনো আতঙ্কে আঁতকে উঠেন সেসময়ে বেঁচে থাকা পুঠিয়ার মানুষরা। যোদ্ধাহত একাধিক স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধা এখনো বুলবুলের রাজাকার বাবার নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছেন।

ইতোমধ্যে রাজশাহী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড রাজাকারপুত্র বুলবুলকে সমর্থন না দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

দেখার অপেক্ষা ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় রাসিক নির্বাচনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাজশাহী বাসী তাদের নগরপিতা হিসেবে কাকে বেছে নেয়। মুক্তিযোদ্ধাপুত্র লিটন নাকি রাজাকারপুত্র বুলবুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *