ষ্টাফ রিপোটার:-
পরশুরাম উপজেলা ভুমি অফিসে কর্মরত বিতর্কিত অফিস সহায়ক(এম এল এস এস) শাফায়েত উল্যা মজুমদার বিরুদ্বে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ করেছেন আলেয়া আক্তার নামের এক হতদরিদ্র নারী।
উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন চন্দনা ডিহি শেখ আহাম্মদের বাড়ী) আলেয়া আক্তার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) হাছিনা আক্তারের কাছে লিখিত অভিযোগে উল্যেখ করেন, ওই নারী উপজেলা ভুমি অফিসে খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য একটি আবেদন করেন।
গত ২০ জুলাই তারিখে ভুমি অফিসের সাফায়েত উল্যাহ মজুমদার তার এক সহযোগি সহ মোটর সাইকেলে বাড়ীতে গিয়ে জেলা প্রশাসক সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কথা বলে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।
আলেয়া আক্তার ২৪ জুলাই এসিল্যান্ড বরাবরে লিখিত আবেদনে উল্যেখ করেন ২০ হাজার টাকা না দিলে জমি বন্দোবস্ত নথি বাতিল করবে বলে হুমকী দেন।, এবং তাৎক্ষনিক ভাবে টাকা যোগাড় না করে দেয়া সাফায়েত উল্যাহ আলেয়া আক্তারকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও ভয়ভীতি দেখান।
এই বিষয় স্থানীয় ভুমি কর্মকর্তার কাছে জানালে তিনি এসিল্যান্ড বরাবরে লিখিত ভাবে জানানোর পরামর্শ দেণ।
অপরদিকে অফিস সহায়ক সাফায়েত উল্যাহ জারি কারকের দায়িত্ব পালন করে খারিজের আবেদনকারীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
দাবি কৃত টাকা না দিলে সাফায়েত উল্যাহ সেবাগ্রহিতাদরে বিভিন্ন ভাবে হয়রানীর করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এবং অফিসের বিভিন্ন গোপন তথ্য সরবরাহ করে এছাড়াও একাধিক নথি গায়েব করার ঘটনা ঘটিয়েছে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত মো সাইফুল ইসলাম পরশুরামে সহকারী কমিশনার (ভুমি) হিসাবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে অফিস সহায়ক সাফায়েত চিথলিয়া ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামের এক সহায় সম্বলহীন মহিলাকে খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়ার কথা বলে নিজের বাসায় ছয়মাস বুয়ার কাজ করিয়েছেন। পরবর্তীতে ওই মহিলা বারবার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জমি না দিয়ে জেলা প্রশাসক ও এসিল্যান্ডের জন্য মুরগী দাবি করলে ওই মহিলা বিষয়টি এসিল্যান্ড সাইফুল ইসলামের কাছে অভিযোগ দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি তৎকালীন সময়ে জেলা প্রশাসক আমিনুল আহসানকে জানালে তাকে পরশুরাম থেকে বদলী করা হয়।
সাফায়েত বিভিন্ন তদবীর করে পুনরায় পরশুরাম উপজেলা ভুমি অফিসে যোগদান করেন।
খারিজের জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করায় স্থানীয় ডেইলী সানের এক সাংবাদিক শিবব্রত চক্রবর্তী এর সাথে তার মারামারি ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে আহত সাংবাদিক পরশুরাম থানায় একটি লিখিত আবেদন করেন।
সাফায়েত উল্যাহ দালালদের সহায়তা পোষ্ট রোডে একটি ব্যাক্তিগত অফিস নিয়ে খারিজের জন্য আবেদন কারীদের সাথে আর্থিক লেনদেন করেন।
পরশুরামে সহকারী কমিশনার (ভুমি) হাছিনা আক্তার জৈনেক আলেয়া আক্তারের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে অফিস সহায়ক সাফায়েত উল্যাহ তার বিরুদ্বে অভিযোগের বিষয় কোন কথা বলতে রাজি হননি।