জনতার মুখোমুখি হয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে দুর্নীতি ঢাকার ব্যার্থ চেষ্টা আরিফের

নিউজ ডেস্ক: সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। নির্বাচনে তার দেওয়া হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সম্পত্তির হিসাবে হেরফের পাওয়া গিয়েছে। নিজেকে স্বশিক্ষিত বললেও শিক্ষার কোনো ছিটেফোঁটাও পাওয়া যায়নি তার কথা-বার্তা ও কাজে। সিসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে আয়োজিত ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের বিশেষ আয়োজন ‘কেমন মেয়র চাই’ অনুষ্ঠানে জনতার মুখোমুখি হয়ে সত্য প্রচারিত হওয়ায় বিব্রত হয়ে পড়েন আরিফ।

কিভাবে স্বশিক্ষিত হলেন- উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের উত্তর গুলিয়ে ফেলেন আরিফুল হক চৌধুরী। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণে শিক্ষার কোন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যারিয়ার নেই। স্বশিক্ষিত বলতে তিনি নিজেকে অশিক্ষিত নন বলে দাবি করেন। এছাড়া বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে স্নাতক পাশ না হয়েও জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানীর পরিচালক হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্নাতক পাশ না করেই কিভাবে এতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছিলেন- এমন প্রশ্নে জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ফেলেন আরিফুল। শুধু অযোগ্য হয়েও পরিচালক হয়েছেন এমন নয়, বরং ক্ষমতার অপব্যবহার করে মহাপরিচালকের গাড়িটিও ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অথচ অভিযোগ অস্বীকার করে স্বগৌরবে মেয়াদ শেষ করারও বিষয়টি মেনে নেন। এছাড়া নগরের অতি নিকট খাদিম নগরের শ্যামল নগর টিলায় তার সম্পত্তি নিয়েও অভিযোগ আনেন উপস্থাপক। সেই প্রশ্নের উত্তরও সঠিকভাবে দিতে পারেননি বিএনপির সাবেক এই মেয়র।

তিনি বলেন, এই সম্পত্তি দেবোত্তর সম্পত্তি নয়। ভূমি অফিস ভুল করে ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে দেবোত্তর সম্পত্তি বলছে। সেখানে একটি ডেইরি ফার্মের কথা বলা হলেও মূলত দুটি গরু দিয়ে ফার্মটি চলে। সিটি করপোরেশনের বাইরে ১৮০০ ওয়াটের বিদ্যুত সংযোগের নিয়ম না থাকলেও ক্ষমতার অপব্যবহার করেই শহরের বাইরে পিডিবির নিয়ম ভেঙ্গেই এই কাজ করেন আরিফুল হক চৌধুরী। শুধু ক্ষমতার অপব্যবহার নয়, বরং সন্ত্রাসীদের সমর্থন করতেন তিনি। তার ছায়াতলে সিলেট মহানগরে দাপটের রাজত্ব বিস্তার করে কালা নাহিদ, জামাল, কালা সোহেল, ডাইল আখতার, কালা মানিক, রেজাউল করিম, ফয়েজ, উমেদুর রহমানের মতো সন্ত্রাসীরা। এইসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অস্ত্র, বোমাবাজি ও সন্ত্রাস বিরোধী মামলা রয়েছে। এইসব সন্ত্রাসীদের সরাসরি মদদ দিতেন আরিফুল হক চৌধুরী। তবে উপস্থাপকের এইসব সত্য অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। আরিফুল হক কৌশলে উপস্থাপকের প্রশ্ন এড়িয়ে উপস্থিত জনতাকে বিভ্রান্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় কে কার পক্ষ নিয়ে কাজ করছে সেটি আসলে গুরুত্বপূর্ণ নয়।

বিএনপির সাবেক এই মেয়রের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যে সিলেট মহানগরবাসীর মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। একজন সাবেক মেয়র কিভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদের পাহাড় গড়েন, সেটি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে পুরো সিলেটজুড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *